ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরিত্যক্ত ভবনে চলছে বরিশালের প্রথম নৌ-থানার কার্যক্রম

প্রকাশিত: ২১:২৬, ১২ আগস্ট ২০১৭

পরিত্যক্ত ভবনে চলছে বরিশালের প্রথম নৌ-থানার কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নদীবেষ্টিত বরিশাল অঞ্চলের নৌপথের নিরাপত্তার জন্য বিভাগের প্রথম নৌ-থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ১৩ জুলাই বরিশাল সদর আরটিওপি নৌ-পুলিশ ফাঁড়িটি বরিশাল সদর-নৌ থানা হিসেবে কার্যক্রম চালুর জন্য নৌ-পুলিশের ডিআইজি মোঃ মনিরুজ্জামান আদেশ প্রেরণ করেন। ওইদিনই নৌ পুলিশের পরিদর্শক নিরস্ত্র (ওসি) মোঃ বেলাল হোসেনকে থানার দায়িত্ব দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, নদীবেষ্টিত এ জেলার বিশাল নৌপথের এবং নৌ-বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তায় বরিশাল সদর, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ ও হিজলাসহ মোট চারটি ফাঁড়ি ছিলো নৌ-পুলিশের। সদ্যঘোষিত থানাযুক্ত হওয়ায় এ জেলার তিনটি ফাঁড়ি ও একটি থানার মাধ্যমে নৌ-পথের নিরাপত্তা পালন করছেন নৌ-পুলিশ। সূত্রে আরও জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএর যে পরিত্যক্ত টিকেট কাউন্টারে সদর নৌ-ফাঁড়ির কার্যক্রম চলতো সেখানেই সদর নৌ-থানার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ওই পরিত্যক্ত টিকেট কাউন্টার ও গুদাম ঘরেই একজন ওসি, একজন এসআই, একজন টিএসআই, দুইজন এটিএসআই, তিনজন এএসআই, দুইজন নায়েকসহ ১৬ জন কনস্টেবল ঠাঁসাঠাঁসি করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, ফাঁড়ি উন্নিত এ থানার অবস্থা খুবই নাজুক। পরিত্যক্ত এ ভবনে একটি থানার কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বড় বড় নদীতে ডাকাতরা মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাতেও হানা দিয়ে লুটপাট চালানোর পর অনায়াসে নিরাপদে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় কেবলমাত্র আধুনিক নৌযান থাকায়। কিন্তু নৌ-টহলের জন্য কোস্টগার্ডের আদলে আধুনিক নৌযান, আধুনিক টহলযান, স্পিডবোট, দ্রুতগতির ইঞ্জিনবোর্ড যুক্ত করা হলে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
×