**খোকার নামে
খালেক বিন জয়েনউদদীন
মাঠ-ঘাট, নদী-নালা আর খাল-বিল
জোছনায় হাসে শুধু করে ঝিলমিল।
পাখ-পাখি নীলাভ রঙে রঙে শাদা-
শাল-বীথি প্রান্তর আর নয় আধা।
পালে পালে শত মাঝি দুই নাও বায়,
বউঝিরা বেউল্যার কত গান গায়।
চিকচিক বালুচরে দোলে কাশবন-
মেঘ-ঝড়ে বৈশাখী, বায়ু শনশন।
এইসব ছবিগুলো খোকার নামে আঁকা
রিদয়তে চিরকাল মমতায় মাখা।
**শোধ হবে না তোমার ঋণ
আ. ফ. ম. মোদাচ্ছের আলী
বজ্রকণ্ঠ গর্জনে তাঁর
রেসকোর্সের মাঠ কাঁপে
যুদ্ধ জয়ে বীর বাঙালি
যায় এগিয়ে ধাপে ধাপে।
লাল সবুজের এই পতাকা
এই মাটি জল পেলাম যেই
হানাদারের দোসরগুলো
বুঝলো তাদের দিন যে নেই।
সুযোগ তারা খুঁজছিল খুব
ঘাপটিমারা ঘাতক সব
কেমন করে যায় থামানো
জনক তোমার বজ্ররব।
পঁচাত্তরের কালো রাতে
কেড়ে নিলো জাতির প্রাণ
পারেনি তো নিতে তারা
বঙ্গবন্ধু তোমার মান।
জাতির পিতা মুজিব তুমি
থাকবে বুকে চিরদিন
শ্যামল সবুজ দেশ পেয়েছি
শোধ হবে না তোমার ঋণ।
***খোকা যে হবেন বঙ্গবন্ধু
রবিউল হুসাইন
খোকা নামেই ডাকতো স্নেহে
শেখের ব্যাটা মুজিবকে
তখন তিনি স্কুলে পড়েন
এক মন্ত্রী এলেন সেইদিকে
পরিদর্শনের সময় হঠাৎ
খোকা বলেন হাত উঁচিয়ে
এক দাবির কথা বলতে চাই
বৃষ্টির পানি পড়ে চুঁইয়ে
তাই স্কুলের ছাদ সরানো হোক
সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী রাজি অবাক সবাই
খোকা যে হবেন বঙ্গবন্ধু
প্রমাণ করে সেই কথাটাই।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: