ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডাকসুসহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচনই পারে নিপীড়নমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ১২ আগস্ট ২০১৭

ডাকসুসহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচনই পারে নিপীড়নমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা কথা বললে মামলা ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। ডাকসুসহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচনই পারে এসব নিপীড়নমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ভাস্কর্য আন্দোলন এবং সাত কলেজের আন্দোলনে ১২০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক সংহতি সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রগতিশীল ছাত্রজোট এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন এবং ছাত্র ঐক্যের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য প্রদান করেন। তারা বিভিন্ন ধরনের প্লাকার্ড বহন করা হয়। এতে লেখা ছিলো অবিলম্বে ডাকসু চাই, ঢাবির আইন বিভাগে নাইট কোর্স বন্ধ কর, সান্ধ্যকালীন কোর্স নিয়মিত শিক্ষার মনোযোগ নষ্ট করে ইত্যাদি। অনুষ্ঠানে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুম্মন বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা কোনো আন্দোলন করলেই তাদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কথা বলার জন্য গণতান্ত্রিক জায়গা ছিলো ছাত্র সংসদ। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তুহিন কান্তিদ দাস বলেন, ৫০তম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছেন। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডাকসু নির্বচন আয়োজন করা কর্তব্য ছিলো। ক্যাম্পাস যদি স্থিতিশীল হয়ে থাকে তাহলে ডাকসু নির্বাচন দিতে সমস্যা কোথায়? ছাত্রদের উপর নিপীড়নমূলক মামলা এবং ডাকসু নির্বাচন আদায়ে সকল ক্যাম্পাসে একযোগে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তিনি হুশিয়ার প্রদান করেন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে। অন্যত্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সবগুলো ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। সাবেক ছাত্র নেতা খালিদুজ্জামান লিটন বলেন, আজকে রাষ্ট্রের চরিত্র আর বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ছাত্র আন্দোলনের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান প্রগতিশীল ছাত্রজোটকে বিভিন্নভাবে কালিমাযুক্ত করা হচ্ছে। ছাত্র জোটের আন্দোলনকে গুটি কয়েক এর আন্দোলন বলা হয়। অথচ শত শত জনের নামে মামলা দেওয়া হয়। এটা একটি চক্রান্ত মন্তব্য করে তিনি আন্দোলনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র রুঁখে দেওয়ার আহ্বান জানান। ছাত্র ঐক্য ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার আল ইমরান বলেন, আজকে যাদের টাকা নাই তাদের শিক্ষা নাই। অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা এগোচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে বের হতে হলে ছাত্র সমাজকে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। শিক্ষার নামে প্রহসনকে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে হবে। সংহতি বক্তব্যে সাবেক ছাত্র নেতা কাজী আকরামুল হব বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা আজ বিক্ষুব্ধ। এটাকে কাজে লাগিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। প্রতিবাদ ছাড়া কোনো দাবি আদায় হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
×