ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানে ধর্ষণের বদলে জনসমক্ষে ধর্ষণ!

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ২৭ জুলাই ২০১৭

পাকিস্তানে ধর্ষণের বদলে জনসমক্ষে ধর্ষণ!

অনলাইন ডেস্ক ॥ পাকিস্তানে ধর্ষণের বদলে জনসমক্ষে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মুলতানের মুজাফফরবাদে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই অপকর্মের শাস্তি হিসেবে ধর্ষক ভাইয়ের দায় নিল কিশোরী বোন। বদলা নিতে গ্রামবাসী ও পিতামাতার সামনে ধর্ষক ভাইয়ের বোনকে ধর্ষণ করা হয়। মুলতানের মুজাফফরবাদে এ ঘটনায় ধর্ষণের বদলে ধর্ষণের আদেশ দেওয়ার অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধর্ষিত দুই কিশোরীর পরিবারই এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। তবে তাদের এ কাজ করতে বাধ্য করেছে জিরগা (গ্রাম পরিষদ)। পুলিশ কর্মকর্তা আল্লাহ বাক্স এএফপিকে বলেন, ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করায় ধর্ষকের ১৬ বছরের কিশোরী বোনকে ধর্ষণের আদেশ দেয় জিরগা। তিনি আরো বলেন, এক কিশোরীকে তার চাচাতো ভাই ধর্ষণ করে। পরে জিরগাতে অভিযোগ করেন ধর্ষিতার ভাই। এ সময় জিরগা অভিযোগকারীকে নির্দেশ দেন অভিযুক্ত ধর্ষকের বোনকে ধর্ষণ করতে। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কিশোরীটিকে জনসমক্ষে ও পিতা-মাতার সামনে জোরপূর্বকভাবে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে দুই ধর্ষিতার মায়েরা অভিযোগ দায়ের করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাকিস্তানের গ্রামাঞ্চলে ও উপজাতি গোষ্ঠীতে গ্রাম পরিষদ জিরগার মাধ্যমে হত্যার বদলে হত্যা ও ধর্ষণের বদলে ধর্ষণের মত বিতর্কিত, সমালোচিত স্থানীয় আইন চালু আছে। যার বর্বরোচিত চিহ্ন বয়ে বেড়াতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। কোনো ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ডের অভিযোগের জন্য থানা ও আদালতের শরণাপন্ন হতে দেয় না গ্রামের প্রভাবশালী নেতৃস্থানীয়দের এ পরিষদ। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ২৫ বছর বয়সী মুখতার মাইকেও এভাবে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল। কারণ তার ১২ বছরের ভাই অধিক বয়সের এক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছিল। পরবর্তীতে মুখতারের সাহসী পদক্ষেপের ফলে ধর্ষককে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল।
×