নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ হবিগঞ্জ সহ গোটা দেশের বহুল আলোচিত বাহুবল সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার কোমলমতি শিক্ষার্থী হত্যা মামলার রায়ে এক পলাতক আসামী উস্তার মিয়া সহ ৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে সংশ্লিস্ট মামলার অভিযুক্ত আসামী সায়েদ মিয়া (৩২) ও জুয়েল মিয়াকে ৭ বছর করে কারাদন্ড এবং প্রতিজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিজ্ঞ আদালত। বেকসুর খালাস পেয়েছে সংশ্লিষ্ট মামলার প্রধান আলোচিত আসামী পঞ্চায়েত সর্দার আব্দুল আলী বাঘাল (৬০), বাবুল মিয়া (৪৫) ও বিল্লাল মিয়া (৩৫)। বুধবার দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে এক জনাকীর্ণ আদালতে বহু প্রতিক্ষিত এই রায় ঘোষনা করেন, সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ মকবুল আহসান। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সুন্দ্রাটিকি গ্রামের হাবিবুর রহমান আরজু (৪০), উস্তার মিয়া (৪৮) ও রুবেল মিয়া (২০)। এদিকে ওই রায়ের পর সংশ্লিস্ট আদালতের বিশেষ পিপি এডভোকেট অশোক কুমার কর সাংবাদিকদেরকে বলেন, এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। ফলে এ রায়ের বিপক্ষে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
উল্লেখ, বিগত ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী হবিগঞ্জের উপজেলা বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট গ্রামের নামকরনে প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক স্কুল এবং মাদ্রাসার ছাত্র যথাক্রমে ওয়াহিদ মিয়ার পুত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের পুত্র তাজেল মিয়া (১০),আবদাল মিয়ার পুত্র মনির মিয়া (৭) ও আব্দুল কাদিরের পুত্র ঈসমাইল হোসেন (১০) কে খেলার মাঠ থেকে অপহরনের পর নির্মমভাবে হত্যা করে এবং সংশ্লিস্ট গ্রামের সন্নিকটস্থ ঈসাবিল নামক স্থানের একটি বালুর স্তুপে পুতে রাখে। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই স্থান থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারী এই চার শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। যা তখন হবিগঞ্জ শুধু নয় দেশ-বিদেশেও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। পরবর্তীতে এই ঘটনায় আবদাল মিয়া প্রথমে ওই চার শিশু নিখোঁজ উল্লেখ করে সংশ্লিস্ট থানায় সাধারন ডায়রী এবং পরবর্তীতে একই ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ও র্যা ব-৯ পৃথকভাবে শুরু করে জোর তদন্ত এবং ধারাবাহিক আসামী গ্রেফতার। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ আব্দুল আলী বাঘাল সহ উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জর্শীট দাখিল করে আদালতে।
