ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গাইবান্ধায় বিদ্যুত বিভ্রাটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৬ জুলাই ২০১৭

গাইবান্ধায় বিদ্যুত  বিভ্রাটে জনজীবনে  চরম দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৫ জুলাই ॥ আকাশে মেঘ জমলে এবং সামান্য বৃষ্টি আর বাতাসেই গাইবান্ধায় বিদ্যুত উধাও হয়ে যায়। আবার সে বিদ্যুত কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর আসে। আর রাতে এ সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ইদানীং ঘন ঘন বিদ্যুত ট্রিপ করা একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবস্থা এমন যে, এক ঘণ্টায় ২-৩ বারও বিদ্যুত বিভ্রাট ঘটছে। আর এ অবস্থা চলছে সারা দিনরাত। সেই সঙ্গে রয়েছে লো-ভোল্টেজ সমস্যা। ফলে বিদ্যুত সঙ্কটে বিপন্ন গাইবান্ধার মানুষ। অথচ কোন প্রতিকার নেই। সীমাহীন এ বিদ্যুত বিভ্রাটের ফলে ফ্রিজে রাখা খাদ্যসামগ্রী এবং ওষুধপত্র নষ্ট হচ্ছে। তদুপরি বাল্ব, ফ্যান, ফ্রিজ, কম্পিউটার এবং ইলেক্ট্র্রিক্যাল সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জনগণ দুর্ভোগের কবলে পড়েছে। স্বাভাবিক অবস্থাতেও প্রতিদিন দিনে এবং রাতে শুধু শহর এলাকাতেই চার থেকে পাঁচবার এক থেকে তিন ঘণ্টা লোডশেডিংজনিত বিদ্যুত বিভ্রাট সংঘটিত হচ্ছে। এছাড়া মেঘ-বৃষ্টি-ঝড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুত সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ বার পর্যন্ত বিদ্যুত ট্রিপ করে। অথচ বিদ্যুতের এ সমস্যা-সঙ্কট নিরসনের দাবিতে সর্বস্তরের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেই বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পল্লী বিদ্যুত সমিতির আওতাধীন গ্রামগুলোতে বিদ্যুত সঙ্কট আরও মারাত্মক। দিনে এবং রাতে লোডশেডিংজনিত বিদ্যুত বিভ্রাটের পরিমাণ আরও বেশি বলে জানা গেছে। বিদ্যুত বিভাগের আওতাধীন লক্ষ্মীপুর এবং বালাসীঘাট ফিডারটি অনেক বড় হওয়ায় ওই ফিডারভুক্ত গ্রামগুলোতে বিদ্যুত বিভ্রাট অত্যন্ত বেশি। জানা গেছে, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২২ থেকে ২৪ মেগাওয়াট। কিন্তু সেখানে পলাশবাড়ির গ্রিড লাইন থেকে দিনে ১৬ থেকে ১৭ মেগাওয়াট এবং রাতে বিশেষ করে পিক আওয়ারে ১২ থেকে ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে সঙ্গত কারণেই গ্রামগুলোতে লোডশেডিং করে শহর এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে ঘাটতির সময়গুলোতে বিদ্যুত সরবরাহ অব্যাহত রাখা হচ্ছে। গাইবান্ধা জেলায় বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি কবে নাগাদ হবে এ বিষয়ে গাইবান্ধা বিদ্যুত বিতরণ বিভাগও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারে না।
×