ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিরঞ্জন রায়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মের্কেল

প্রকাশিত: ০৩:২৯, ২৪ জুলাই ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মের্কেল

আমার লেখার উদ্দেশ্য মোটেই এই দুজন সরকারপ্রধানের মধ্যে তুলনা করা নয় এবং এটা কখনও সম্ভবও নয়। বাংলাদেশ এবং জার্মান দুটো স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, যার গঠনতন্ত্র, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, সরকার কাঠামো, জনগণের চাহিদা, কৃষ্টি, সংস্কৃতিÑ এর সবকিছুই ভিন্ন এবং স্বতন্ত্র। তাছাড়া জার্মানি উন্নত বিশ্বের তথা জি-৮ ভুক্ত মহাশক্তিধর একটি দেশ, যেখানে কোন কিছু ঘটা মাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে সাহায্য করার জন্য। অথচ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল একটি দেশ এবং এখানে কোন কিছু ঘটলে অনেকেই সেটাকে কাজে লাগিয়ে এই দেশকে বা সরকারকে এক রকম বেকায়দায় ফেলার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চেষ্টা করে থাকে। সুতরাং একটি উন্নত দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে একটি উন্নয়নশীল দেশের সরকারপ্রধানের তুলনা করার চেষ্টা এক ধরনের অবিমৃষ্যকারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু তুলনা করার কথা বাদ দিলেও বিশ্ব গণমাধ্যমে যেভাবে নানা সংবাদ চলে আসছে তাতে এই দু’দেশের সরকারপ্রধানের কথা আমাদের মাঝে বেশি আলোচিত হয়। গত বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল তাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জার্মানির চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মের্কেল উভয়ের নাম ছিল। উল্লেখ্য, এখানে ক্ষমতাধর বলতে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে দৃঢ়তার পরিচয় দেয়াকে বোঝানো হয়েছে। এমনকি মাত্র কিছুদিন আগে ওয়াশিংটন থেকে রিচার্ড ও ব্রায়ান বিশ্বের এক শ’ মহিলা নেতৃত্বের তালিকা নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছেন। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ আছে। শুধু তাই নয়, সেই বইয়ের কভার পেজ তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের মাত্র সাতজন সফল মহিলার ছবি দিয়ে এবং তার একজন হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ্যাঞ্জেলা মের্কেল এক সময় তার নিজের দেশেই শুধু নয়, সমগ্র ইউরোপে ছিলেন খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। জার্মানি ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ এক অর্থনীতির দেশ। বলা যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের চালিকার আসনে আছে জার্মানি। তার এই জনপ্রিয়তার মূলে যে বিষয়গুলো কাজ করেছিল তার মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সুশৃঙ্খল ব্যাংকিং ব্যবস্থা অন্যতম। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই এ্যাঞ্জেলা মের্কেলের সেই জনপ্রিয়তায় ধস নামে। এর জন্য মূলত তিনটি ক্ষেত্রে তার ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়ে থাকে, তা হলো ক্রমাগত জঙ্গী হামলায় অসংখ্য হতাহতের ঘটনা এবং এই হামলা মোকাবেলায় তার ব্যর্থতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অভাব এবং ব্যাংকিং খাতের বিশৃঙ্খলা। অভিবাসী গ্রহণের জন্য তাকে দায়ী করা হলেও এই অভিবাসীর অন্তরালে একের পর এক জঙ্গী হামলাই মূলত দায়ী। সুতরাং অভিবাসী নয়, মূলত জঙ্গী হামলা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় তার ওপর জার্মানির জনগণ ক্ষুব্ধ হয়, যা তার জনপ্রিয়তা পতনের অন্যতম কারণ। অর্থনৈতিক মন্দা আরও একটি মারাত্মক সমস্যা। দেশের বেকারত্বের হার বেড়েই চলেছে। নতুন বিনিয়োগ ও নতুন কর্মসংস্থান তেমন কিছুই হচ্ছে না। জার্মানিকে তার নিজের দেশের তো বটেই, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক সদস্য রাষ্ট্রের সমস্যারও ভাগিদার হতে হচ্ছে। তাই দেখা যায়, ২০০৮ সালের মন্দার পর থেকে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। অথচ তার সমসাময়িক অনেক উন্নত বিশ্বের অর্থনীতি বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও জার্মানির অর্থনীতি সে তুলনায় তেমন কিছুই করতে পারছে না। এর ওপর যোগ হয়েছে ব্যাংকিং খাতের মারাত্মক অব্যবস্থা। জার্মানির ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার সময় যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের উন্নত অনেক দেশেই ব্যাংকিং ব্যবস্থা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়লেও জার্মানির ব্যাংকগুলো বেশ শক্ত অবস্থানে ছিল এবং কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। অথচ বিগত বছর দুয়েক হলো জার্মানির ব্যাংকিং খাত মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। যে ডয়েচ ব্যাংককে বলা হতো বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ও শক্তিশালী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। সেই ব্যাংকই আজ নানা অনিয়মে ও বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত হয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলছে। এক সময় জার্মানির ব্যাংকের যে কোন মূল্যের যে কোন মেয়াদের এলসি বা গ্যারান্টি পেলে যে কোন প্রতিষ্ঠান তা সাদরে গ্রহণ করত। কিন্তু অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, অনেকেই এখন জার্মানির কোন ব্যাংকের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী লেনদেনে আবদ্ধ হতে চায় না। ডয়েচ ব্যাংক এবং কমারজ ব্যাংক ছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের অবস্থার উন্নতি ঘটলেও এই দুটো ব্যাংক এখনও অবস্থার উন্নতি ঘটানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফলে জঙ্গী দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়া এবং ব্যাংকিং খাতের চরম অব্যবস্থার কারণে জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মের্কেলের জনপ্রিয়তা এখন অনেক নিচে নেমে গেছে এবং আগামী নির্বাচনে তার জয়ের ব্যাপারে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন। যেসব ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণে জার্মানির চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মের্কেলের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে, ঠিক সেই সকল ক্ষেত্রেই সফল হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশের সরকারপ্রধান বা নেতা নেত্রীদের জনপ্রিয়তা পরিমাপের জন্য জনমত যাচাইয়ের তেমন কোন গ্রহণযোগ্য মাধ্যম নেই। মাঝে-মধ্যে দু’একটি জরিপ বা জনমত যাচাইয়ের উদ্যোগ দেখা গেলেও সেগুলো এতটাই পক্ষপাতদুষ্ট যে, তেমন কোন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তবে একটু চোখ-কান খোলা রাখলে স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, কার জনপ্রিয়তা কমছে বা বাড়ছে। সরকারী দল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কোথায় অবস্থান করছে সেটা বোঝা না গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা যে এখন তুঙ্গে আছে সে কথা তার শত্রুরাও স্বীকার করবে। গত বছর বাংলাদেশে বেড়াতে যেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক গ্রাম ঘুরে বেড়িয়েছি এবং প্রসঙ্গক্রমে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় এমন দু’একজনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। একজন স্পষ্ট করেই বললেন, শেখ হাসিনার সময় অনেক উন্নতি হয়েছে এবং আগে আর কারও আমলে এত উন্নতি হয়নি। আরেকজন বলেই ফেললেন যে, তিনি শেখ হাসিনার কোন ভুল দেখেন না। স্বপক্ষের মানুষ সব সময় ভাল বলবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভিন্ন মতাদর্শের বা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন মানুষ যখন অকপটে শেখ হাসিনাকে ভাল বলে তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এখন অনেক ওপরে। এর যথেষ্ট কারণও আছে। তার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে দেশ ৬ শতাংশের ওপরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলছে ধারাবাহিকভাবে। এছাড়া সামাজিক উন্নয়নের সূচকগুলো অনেক উন্নয়নশীল দেশ থেকেও বেশ ওপরে বিরাজ করছে। মাথাপিছু আয় দেড় হাজার ডলার ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। দারিদ্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মকর্মসংস্থান, ডিজিটালাইজেশন, ব্যাপক অবকাঠামো নির্মাণ, বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ উন্নয়নের সূচকগুলো উর্ধমুখী আছে শেখ হাসিনার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের কারণেই। শুধু তাই নয়, খুব সহসা বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হবে যদি এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে। সুতরাং তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। পাশাপাশি জঙ্গী দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথেষ্ট দক্ষতা ও সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। যেখানে বিশ্বের মহাক্ষমতাধর দেশসমূহ এই সমস্যা নিরসনে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গীদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সের কথা শুধু মুখে বলেনি, বাস্তবেও প্রয়োগ করেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে জঙ্গী একটি বিশ্বময় সমস্যা এবং এটা নির্মূল করা এক কঠিন কাজ। আমাদের দেশে এটা আরও বেশি কঠিন, কারণ এটি অত্যন্ত জনবহুল একটি দেশ। তাছাড়া এদেশের নাগরিকদের সঠিক তথ্যপ্রমাণসহ প্রকৃত পরিচিতির কোন ডাটাবেজ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোন উন্নত প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিও নেই। এতদসত্ত্বেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে জঙ্গী দমনে যথেষ্ট সফলতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশে জঙ্গী দমনে শেখ হাসিনার পদক্ষেপ এবং তার সফলতা বিশ্বেও প্রশংসিত হয়েছে। ফলে অনেক সফলতার ও উদ্যোগের মাঝে এই দুটো ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট সফলতার কারণে তিনি আজ জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছেন। এটাই জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মের্কেলের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পার্থক্য। তবে জার্মানির মতো আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থাও এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টির আড়ালেই রয়ে গেছে। আমাদের দেশে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেলেও এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসেনি। খেলাপী ঋণ ক্যান্সারের মতো এক মারাত্মক সমস্যা হয়ে রয়ে গেছে দীর্ঘদিন ধরে। কর্পোরেট গবার্নেন্স নেই বললেই চলে। তাছাড়া পেশাদার যোগ্য ব্যাংকার তৈরিরও সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে নানা কারণে। এতে করে ব্যাংকিং খাতে নানারকম অনিয়ম ঘটেই চলছে। অথচ দেশের টেকসই উন্নতি নিশ্চিত করতে হলে সুশৃঙ্খল ও সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। আমাদের দেশে বৃহৎ ব্যাংকিং খাত একটি বড় অর্জন হলেও নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খল অবস্থার কারণে এর সুফল দেশ সেভাবে পাচ্ছে না। অথচ খেলাপী ঋণ ঠিক করা, কর্পোরেট গবার্নেন্স অর্থাৎ পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার মাঝে একটি চেক এ্যান্ড ব্যালান্স প্রবর্তন করা এবং পেশাদার ব্যাংকার তৈরির ক্ষেত্র প্রস্তুত করার মতো মাত্র কয়েকটি উদ্যোগ যথাযথভাবে গ্রহণ করতে পারলে আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাত একটি ভাল সম্মানজনক অবস্থায় পৌঁছাবে। ফলে অনেক অনিয়ম যেমন বন্ধ হবে, তেমনি ব্যাংকের ওপর মানুষের আস্থাও বাড়বে। কাজটা অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর নয়, বরং অর্থ মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু আমাদের দেশের অবস্থা এমন যে, দশ মন্ত্রণালয় বললেও যা না হয় তা প্রধানমন্ত্রী বলা মাত্র জাদুর মতো কাজ হয়। আমি যতটুকু জানি তাতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত পড়াশোনা করেন এবং অন্য সকল ক্ষেত্রের মতো ব্যাংকিং খাতের দিকেও তিনি ঠিকই নজর রাখছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করা মাত্র আমাদের দেশের ব্যাংকিংখ্যাতও ঘুরে দাঁড়াবে, যেমনটা দাঁড়িয়েছে আমাদের দেশের বিদ্যুত খাতসহ আরও অনেক সেক্টর। আমরা সেই দিনটির অপেক্ষায় থাকলাম। লেখক : ব্যাংকার, ২৩ জুলাই ২০১৭ টরনটো, কানাডা [email protected]
×