হলের অনেক আনন্দ ও উৎসবের মধ্যে একটি হলো জন্মদিন পালন। নিজের অজান্তেই দেখা যায় ঠিক ১২টার দিকে তার বন্ধুবান্ধব, ছোট ভাই, বড় ভাই কত আয়োজন করে বসেছে। যে কাউকে মুগ্ধ করে দেয়ার মতো বিষয়। বলছি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জামাল হোসেন হলের কথা। তেরটি হলের মধ্যে সবচেয়ে ছোট হল এটি। মুক্তিযোদ্ধা জামাল হোসেনের স্মৃতি স্মরণে এই হলটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। যাই হোক কথা বলছিলাম হল জীবনে জন্মদিন উদযাপনের আনন্দঘন মুহূর্তের। এখানে প্রত্যেকটি জন্মদিন যেন এক একটি উৎসবের বার্তা নিয়ে আসে। সবারই জন্মদিনের একটা তালিকা আছে তাদের কাছে। কারও জন্মদিন এলেই যার জন্মদিন তাকে বাদে সবাই চুপিসারে আয়োজন করে তাকে সারপ্রাইজড করার জন্যে। রাত ১২টার দিকে সবাই এসে হাজির হয় কমনরুমে। পরে ধরে নিয়ে আসা হয় সেই বন্ধুটিকে, যে এই দিনে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল, যে তার পরিবার-পরিজন ছেড়ে এই দূর পরবাসে রয়েছে। সেই বন্ধুটি যখন এসে উপস্থিত হয়, সে তার পরিবার-পরিজন ছেড়ে এই দূর পরবাসে থাকার কথা ভুলে যায়, আবেগাপ্লুত হয়ে কৃতজ্ঞতা জানায় তার এত সুন্দর বন্ধুগুলোকে। সত্যিই বন্ধুগুলো অনেক ভাল। শহীদ জামাল হোসেন হলের অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ভালবাসা ও সুসম্পর্ক একটি। হলটি অন্য হলগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। হলটি ৬টি ব্লকে বিভক্ত এবং রুমগুলোর ওপর কোন ছাদ নেই। রুমগুলোর ওপর রয়েছে টিনের শেড। হলটির বাহির থেকে দেখলে মনে হয় ছোট ছোট ঘরের সমাহার। হলটি বাহির থেকে দেখলে কবি “বন্দে আলী মিয়ার’ কবিতার চরণটি মনে পড়ে যায় যে, ‘আমাদের ছোট গাঁয়ে ছোট ছোট ঘর, থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর।’ সত্যি আমরা মিলেমিশে খুব ভাল আছি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: