ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন রিপোর্টে ‘আজাদ কাশ্মীর’ নিয়ে ভারতের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৩ জুলাই ২০১৭

মার্কিন রিপোর্টে ‘আজাদ কাশ্মীর’ নিয়ে ভারতের প্রতিবাদ

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে (পিওকে) ‘আজাদ জন্মু এ্যান্ড কাশ্মীর’ হিসেবে অভিহিত করে বুধবার যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সে বিষয়ে ভারত কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। ‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেররিজম-২০১৬’ শীর্ষক রিপোর্টে এ বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে এলাকাটি ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া। রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পর ভারত সরকার এ প্রতিবাদ জানানোর উদ্যোগ নেয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, সরকার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ২০১৬ সালে সন্ত্রাসের ওপর কান্ট্রি রিপোর্টটিতে আজাদ জম্মু এ্যান্ড কাশ্মীর এ শব্দাবলীর উল্লেখ দেখেছে। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করেছি এবং আমাদের প্রতিবাদ জানিয়েছি। এবারই প্রথম যে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে ‘আজাদ জন্ম ও কাশ্মীর’ বলে উল্লেখ করেছে, যদিও অঞ্চলটি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত অঞ্চলটিকে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর হিসেবে অভিহিত করে বসেছে। রিপোর্টে অবশ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতীয় পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের সন্তুষ্টিরও কারণ রয়েছে, রিপোর্টে রাজ্যটিকে জম্মু এ্যান্ড কাশ্মীর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এ রাজ্যকে ভারত শাসিত কাশ্মীর বা ইন্ডিয়ান-এ্যাডমিনিস্টার্ড কাশ্মীর হিসেবে উল্লেখ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, সন্ত্রাসী সংগঠন হরকত-উল-মুজাহিদীন (এইচইউএম) মূলত জন্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আজাদ জন্মু ও কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ থেকে এইচইউএমের কর্মকা- পরিচালনা করে ঠিক যেমন পাকিস্তানের কয়েকটি শহর থেকে তা করা হয়। ২৬-১১ য়ের মুম্বাই হামলাসহ ভারতে কয়েকটি হামলার জন্য দায়ী হাফিজ সাঈদের নেতৃত্বাধীন লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) সম্পর্কে রিপোর্টে একইভাবে বলা হয়। সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা যথাযথভাবে জানা যায়নি। কিন্তু এর কয়েক হাজার সদস্য রয়েছে আজাদ জন্মু ও কাশ্মীরে, পাকিস্তানের পাঞ্জাবে খাইবার-পাখতুনখোয়া ও ভারতের জন্মু-কাশ্মীর রাজ্যে। মুজাফফরাবাদ হচ্ছে এলইডি ও ভারতবিরোধী অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রধান দফতর এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নির্দেশে সন্ত্রাসীদের ভারতে প্রবেশে পিওকেকে ব্যবহার করা হয় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালানোর জন্য পরিকল্পনা করা হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া মার্কিন দূতাবাস থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন জবাব পাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। কোন কোন কর্মকর্তা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর হিসেবে উল্লেখ যদি করাও হয় তাহলেও সন্ত্রাসীদের প্রতি সমর্থন ও আশ্রয় যোগানো এবং তাদের সীমান্ত অতিক্রমের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ শেষ হয়ে যায় না।
×