ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ১০.৪০ শতাংশ

প্রকাশিত: ০২:২১, ২২ জুলাই ২০১৭

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ১০.৪০ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্য সংশোধনের কারণে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর সূচকটি সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছার পর মূলত দর সংশোধন শুরু হয়। বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার নীতির কারণে সার্বিক লেনদেন কমেছে ১০.৪০ শতাংশ। শুধু তাই নয়, সেখানে সব ধরনের সূচকই কমেছে। চলতি সপ্তাহের ২৬ তারিখে আগামী অর্ধবার্ষিকীর জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাওয়ার প্রাক্কালে বিনিয়োগকারীদের ধীরে চলো নীতিই বজায় থেকেছে। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৫ হাজার ৭৯ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৬৬৯ কোটি ১৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৩৯ টাকার। এই হিসাবে গত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বাজারে বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয় আচরণের কারণে সূচক ও লেনদেনের বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডিএসইর সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৫২ দশমিক শূন্য ৩৯ পয়েন্ট বা ১ শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ৯.৩৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ১৩ দশমিক ৩০ পয়েন্টে বা ১ শতাংশ। এদিকে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমার কারণে সার্বিক বাজার মূলধনও কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে এই বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সার্বিকভাবে বাজার মূলধন কমেছে ০.৪৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৬টি কোম্পানির; দর কমেছে ২০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লঙ্কাবাংলা ফাইনান্স, রিজেন্ট টেক্সটাইল, বারাকা পাওয়ার, ফু-ওয়াং ফুড, কেয়া কসমেটিক, ডরিন পাওয়ার, বে´িমকো, প্রাইম ব্যাংক, সাইফ পাওয়ারটেক ও আইসিবি। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কনফিডেন্স সিমেন্ট, এপেক্স স্পিনিং, এমবে ফার্মা, বিডি অটোকার, আইসিবি এএমসিএল ২য় মিউচুয়াল ফান্ড, জিকিউ বলপেন, ইফাদ অটো, আইপিডিসি, ইউনিক হোটেল এ্যান্ড রিসোর্ট ও হাক্কানী পাল্প। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বিডি ওয়েল্ডিং, বিআইএফসি, মেঘনাপেট, ফু-ওয়াং ফুড, নূরানী ডাইং, রিজেন্ট টেক্সটাইল, আইএফআইসি ব্যাংক, কেয়া কসমেটিক ও জিএসপি ফাইনান্স।
×