ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ত্রোপচার শেষে বললেন চিকিৎসক

আহত সিদ্দিকুর অন্ধ হতে চলেছে

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২২ জুলাই ২০১৭

আহত সিদ্দিকুর অন্ধ হতে চলেছে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় পুলিশের ‘কাঁদানে গ্যাসের শেলের’ আঘাতে আহত সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র মো. সিদ্দিকুর রহমানের চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। আজ শনিবার সকালে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তাঁর দুই চোখে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা বলছেন, সিদ্দিকুরের চোখের আলো ফেরার সম্ভাবনা কম। হাসপাতালের সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে নয়টার শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টা ধরে দুই চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সিদ্দিকুর রহমানের ডান চোখের ভেতরের অংশ বের হয়ে আসছিল; তা যথাস্থানে বসানো হয়েছে। বাঁ চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; রক্ত ছিল, তা পরিষ্কার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া রাজধানীর সাত সরকারি কলেজ ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তাঁদের লাঠিপেটাও করা হয়। ওই দিন পুলিশের ‘কাঁদানে গ্যাসের শেলের’ আঘাতে আহত সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র মো. সিদ্দিকুর রহমান জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে। এজাহারে শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানের আহত হওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, মিছিলকারীদের ছোড়া ফুলের টবের আঘাতে তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. সিদ্দিকুর রহমানের (২৩) দুই চোখ জখম হয়। তবে ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ব্যানার নিয়ে শাহবাগ থেকে কাঁটাবনমুখী সড়কে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন পুলিশের সদস্যরা গিয়ে তাঁদের ব্যানার কেড়ে নেন। এক পুলিশ সদস্য দৌড়ে এসে খুব কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়েন। এরপরই সিদ্দিকুর রহমান মাটিতে পড়ে যান। আহত সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দার ঢাকেরকান্দা গ্রামে। তাঁর চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
×