ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ ও ইসি মিলে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার ফন্দি করছে ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ২২ জুলাই ২০১৭

আওয়ামী লীগ ও ইসি মিলে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার ফন্দি করছে ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্রের দেহে যেভাবে ছুরি চালাচ্ছেন তাতে সকল নাগরিক অধিকার প্যারালাইজড হয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন মিলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ফন্দিফিকির করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন কখনই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। তিনি বলেন, চাকরি জীবনে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বশীল কোন বড় পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও আওয়ামী লীগ যে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নুরুল হুদা সাহেবকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে এটি জনগণের কাছে পরিষ্কার। সম্প্রতি সিইসির বিভিন্ন বক্তব্যে এটি আরও সুস্পষ্ট হয়েছে। সিইসি হিসেবে যোগদানের পর তিনি বিতর্কের উর্ধে উঠতে পারেননি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলা দিয়ে সরকার সাংবাদিক নির্যাতন করছে অভিযোগ করে অবিলম্বে আইনটির ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা স্বাধীন মতপ্রকাশের অন্তরায়। ৫৭ ধারার ভয়াবহতা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন করে সরকারের তৈরি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়াকে আরও ভয়াবহ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, সে আইনের ১৯ ধারাতে গণমাধ্যমকে আরও শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণের বিধান রাখা হয়েছে। এই ১৯ ধারাতেও তথাকথিত মানহানি, সামাজিকভাবে অপদস্ত করার চেষ্টা বিশেষভাবে রাখা হয়েছে। যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আরেকটি বড় খড়গ হবে। রিজভী বলেন, সরকারের এসব কালাকানুন ও নীতিমালা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ও ডিজিটাল মিডিয়া তথা ওয়েবসাইট, অনলাইন সামাজিক মাধ্যমের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা সরকারী ব্যয়ে ইতোমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন, যা সম্পূর্ণরূপে নির্বাচনী আইনপরিপন্থী। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরি এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ। সহায়ক সরকারের দাবি না মানলে রাজপথে আন্দোলন -মাহবুব সহায়ক সরকারের দাবি না মানলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ খুব ভাল করেই জানে খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ফিরেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন। আর সে ভয়েই দলটির নেতারা বেসামাল হয়ে একেকজন একেক কথা বলছেন। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন। মাহবুব হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কেউ বলছেন খালেদা জিয়া পালিয়ে গেছেন, কেউ বলছেন তিনি আর ফিরে আসবেন না। কিন্তু এ দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন কারা তা তো আমরা দেখেছি ওয়ান-ইলেভেনের সময়। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হলে এ দেশ থেকে আওয়ামী লীগকে প্রত্যাহার করতে হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাদা মোঃ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম।
×