ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর আবাসিক ভবনে গড়ে উঠছে অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২২ জুলাই ২০১৭

রাজধানীর আবাসিক ভবনে গড়ে উঠছে অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আদালতের আদেশ, মন্ত্রিসভার নির্দেশ কিংবা বিভিন্ন সময়ে রাজউক ও সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান। এত কিছুর পরও কোন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না রাজধানীর আবাসিক ভবনগুলোতে গড়ে ওঠা অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে দিন দিন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে নগরবাসীর জীবন যাপন। নগরবিদরা এর জন্য দুষছেন রাজউক ও সিটি কর্পোরেশনের ব্যর্থতাকে। সরকার বলছে, অনেকে আদালতে আশ্রয় নেয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। এলিফ্যান্ট রোডের একটি আবাসিক ভবনে দেখা যায়, শুধুমাত্র অতিরিক্ত টাকা পাওয়ার লোভে বাড়ির মালিক মূল গেটের ভেতরে আবাসিক ভবনের নিচতলা ভাড়া দিয়েছেন খাবার হোটেল হিসেবে। অথচ আইন অনুযায়ী আবাসিক ভবন তো দূরের কথা আবাসিক এলাকার মধ্যেও কোন ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা না রাখার স্পষ্ট বিধান রয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, ভবনের মধ্যে খাবার হোটেল থাকায় দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশ ও ঝাঁঝালো ঘ্রাণের মধ্যেই তাদের সবসময় বসবাস করতে হচ্ছে। বড় বড় গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও শঙ্কা তাদের। বাড়ির বাসিন্দারা জানান, হোটেলের রান্নার সময় বাটার শব্দ শুরু হয় ভোর চারটা থেকে যা তাদের এবং তাদের বাচ্চাদের জন্য খুবই অস্বস্তিকর। এতে তাদের ঘুম থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজ কর্মে সমস্যার সৃষ্টি করছে বলেও জানান তারা। একই অবস্থা নগরীর গুলশান, বনানী, উত্তরা, বারিধারা ও ধানম-ি এলাকার বিভিন্ন আবাসিক ভবনে। অথচ গত বছর ৪ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজধানীসহ সারাদেশের আবাসিক ভবনের পাশাপাশি আবাসিক এলাকা থেকেই সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে বাস্তবে এখনও তার কিছুই হয়নি। রাজউক বলছে, আবাসিক ভবন থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাতে উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি বড় অংকের জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে। তবে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশন ও রাজউকের কোন জবাবদিহিতা না থাকায় তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। রাজউকের কর্মকর্তারা বলেন, ‘এটি বড় একটি নগরী। এক্ষেত্রে আমাদের একটু সময় লাগছে তবে পর্যায়ক্রমে আমরা সব এলাকাতে এ কাজটি করে যাচ্ছি।’ রাজউক থেকে এ পর্যন্ত নগরীর আবাসিক এলাকাতে ১৬২৫টি বাণিজ্যিক ভবন চিহ্নিত হলেও আবাসিক ভবনে রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাব নেই।
×