অনলাইন ডেস্ক ॥ জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্সে ২০০ মিটারে সেরা হয়েছেন সাইফুল ইসলাম ও সোহাগী আক্তার। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার ২১.৬০ সেকেন্ড সময় নিয়ে গতবারের সেরা শরীফুল ইসলামকে পেছনে ফেলেন সাইফুল। শরীফুল ২১.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় ও মেজবাহ আহমেদ ২২.০০ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
মেয়েদের ২০০ মিটারে দ্বিতীয়বারের মতো সেরা হওয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সোহাগী ২৫.১০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন। জাকিয়া সুলতানা (২৫.৬০ সেকেন্ড) দ্বিতীয় ও আয়শা আক্তার (২৫.৯০ সেকেন্ড) তৃতীয় হয়েছেন।
২০১৫ সালে জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সে ১০০ মিটার (১০.৫৩ সেকেন্ড) ও ২০০ মিটারে (২১.৬০) রেকর্ড গড়ে সোনা জেতা সাইফুল মনে করেন, শুরুটা ভালো হওয়ায় সেরা হতে পেরেছেন তিনি। শনিবার হতে যাওয়া ১০০ মিটার স্প্রিন্টে গতবারের সেরা মেজবাহকেও হারানোর লক্ষ্য ১৮ বছর বয়সী এই অ্যাথলেটের।
“মেজবাহ ভাই যতদিন ধরে সোনা জিতছে, ততদিন আমি খেলার জগতে আসিনি। খেলার জগতে আসছি ২০১২ সালে। আজ শুরুটা ভালো হয়েছে। ১৫০ মিটার আমি ভালো দৌড়েছি। এরপর ২০ মিটারে একটু পিছিয়ে পড়ছিলাম। তবে শেষ ৩০ মিটারে গতি বাড়াতে পেরেছি-সর্বোচ্চ এফোর্ট দিতে পেরেছি। এ কারণে শরীফুল-মেজবাহ ভাইদের হারাতে পেরেছি।”
“পরীক্ষা ছিল। এক মাসের মতো অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। এই এক মাসের মধ্যে কাফি (আব্দুল্লাহ হেল কাফি) স্যার অনুশীলন করিয়েছেন। আমার মূল ইভেন্ট ২০০ মিটার। কোচ যদি ১০০ মিটারে দৌড়াতে বলেন, আমি চেষ্টা করব এবং বিশ্বাস করি, অনুশীলন করলে মেজবাহ ভাইকে হারানো সম্ভব।”
পিঠের ব্যথা নিয়ে ২০১৬ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটারে ২১.৬৬ সেকেন্ডে রূপা জেতা সাইফুল এবার সেরা হওয়ায় আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। আগামী এসএ গেমসের জন্য চাইছেন উন্নত অনুশীলন সুবিধা।
“যেহেতু সাফ গেমসের এখনও দেড় বছর সময় আছে, ফেডারেশন যদি ভুবনেশ্বরের মতো আবারও আমাদের ট্রেনিংয়ে পাঠায় বা এখন যারা ভালো টাইমিং করছে এবং উঠতি যারা, তাদের নিয়ে যদি এখনই এসএ গেমসের ক্যাম্প শুরু করে তাহলে ভালো হবে।”
“বিদেশি কোচ আনলে আরও ভালো। দেশি কোচও ভালো। কিন্তু বিদেশি কোচ এলে তারা (অ্যাথলেটদের অনুশীলন ও অন্যান্য বিষয়ে) যা যা চায়, সেগুলো ফেডারেশন দেয়।”
জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে ২৪.৬৬ সেকেন্ড সময় নেওয়া সোহাগী এ নিয়ে ২০০ মিটারে দ্বিতীয়বার সেরা হলেন। ২০১৪ সাল থেকে ৪০০ মিটারে সেরা এই অ্যাথলেটও এসএ গেমস সামনে রেখে দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলনের চাওয়াটা জানিয়ে রাখলেন।
“আন্তর্জাতিক পর্যায়ের টুর্নামেন্টগুলোয় টাইমিংয়ের উন্নতি করাই মূল লক্ষ্য। যদি সেটা ধারাবাহিকভাবে করতে পারি, তাহলে এসএ গেমসে নিশ্চয় কোনো না কোনো পদক জিততে পারব। তবে এ জন্য ক্যাম্পে থেকে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই।”
সামার অ্যাথলেটিক্সের ত্রয়োদশ আসরের প্রথম দিনে ছেলেদের ১৫০০ মিটারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আল-আমিন ৪ মিনিট ৪.৯০ সেকেন্ড নিয়ে সেরা হয়েছেন। মেয়েদের বিভাগে একই দলের সুমি আক্তার ৫ মিনিট ৩০.২০ সেকেন্ড নিয়ে সেরা।
ছেলেদের ৪০০ মিটার হার্ডলসে নৌবাহিনীর এম আলমগীর ৫৪.৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হয়েছেন।
মেয়েদের লং জাম্পে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আইরিন আক্তার (৫.৪৭ মিটার) ও শটপুটে আনসার ও ভিডিপির শ্রাবনী মল্লিক (১০.৯৬ মিটার) সেরা হয়েছেন।
ছেলেদের ম্যারাথনে সেনাবাহিনীর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ২ ঘণ্টা ৩৫.৫০ মিনিট) ও হাই জাম্পে নৌবাহিনীর সজিব হোসেন (১.৯৫ মিটার) প্রথম হয়েছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: