ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কপালে তলোয়ারের আঘাত লেগে রক্তাক্ত কঙ্গনা!

প্রকাশিত: ১৯:১২, ২১ জুলাই ২০১৭

কপালে তলোয়ারের আঘাত লেগে রক্তাক্ত কঙ্গনা!

অনলাইন ডেস্ক ॥ হলিউডের অ্যাকশন ডিরেক্টর নিক পাওয়েলের কাছে সোর্ড ফাইটিংয়ে রীতিমতো তালিম নিয়েছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু দুর্ঘটনা কি আর ট্রেনিংয়ে কাটানো যায়! হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে চলছিল ‘মণিকর্নিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’র শ্যুটিং। সোর্ড ফাইটিংয়ের দৃশ্যে অভিনয় করছিলেন কঙ্গনা। সহ-অভিনেতা নীহার পাণ্ড্য। লড়তে লড়তে হঠাৎ করেই কপালে তলোয়ারের আঘাত লেগে যায় কঙ্গনার। সঙ্গে সঙ্গে রক্তারক্তি কাণ্ড! সেট’এর সকলেরই তখন আক্কেল গুড়ুম। তারপর তড়িঘড়ি নায়িকাকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী অ্যাপোলো হসপিটালে। আপাতত তিনি সুস্থ আছেন বলেই জানা গিয়েছে। সেট’এ উপস্থিত কলাকুশলীর তরফে জানা গিয়েছে, নীহার যখন তলোয়ার নিয়ে কঙ্গনাকে আঘাত করতে যাচ্ছেন, সেটা থেকে বাঁচতে নায়িকার তক্ষুনি সরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গন্ডগোলটা হয়েছিল টাইমিংয়ে। কঙ্গনার সরে যেতে এক সেকেন্ড দেরি হয়ে যাওয়ায় তলোয়ার গিয়ে পড়ে তাঁর কপালে। দুই ভুরুর মাঝখানে। খুবই ভয়ানক চোট। গুরুতর অবস্থা দেখে আইসিসিইউতে ভর্তি করে দেওয়া হয় তাঁকে। ১৫টা সেলাই পড়েছে কঙ্গনার কপালে। আপাতত কয়েকদিন হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। ইউনিট মেম্বারদের কথায়, ‘‘কঙ্গনা সত্যিই ফাইটার। স্টিচ নিতে নিতেও বলছিল, এই কাটা দাগটা ও ছবিতেও রাখতে চায়। আর নীহার যতবারই ওকে ‘সরি’ বলতে যাচ্ছে, ও বলছে, ‘সরি বলার দরকার নেই। বাকি কাজটা উতরে দে!’ দেখা যাচ্ছে ঝাঁসির রানির মতোই ওর সাহস!’’ ছবির নির্মাতারা কঙ্গনাকে বডি ডাব্ল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু কঙ্গনার মতো পারফেকশনিস্ট সে কথা শুনবেন থোড়াই! নিজেই সব স্টান্ট করবেন বলে জেদ ধরেছিলেন। সেই কারণে হলিউডের অ্যাকশন ডিরেক্টর নিক পাওয়েলের কাছে সোর্ড ফাইটিংয়ে রীতিমতো তালিম নিয়েছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু দুর্ঘটনা কি আর ট্রেনিংয়ে কাটানো যায়! আসলে অঘটন আর কঙ্গনা তো এখন প্রায় সমার্থক। বলিউডের সকলেই মোটামুটি কঙ্গনার থেকে নেপোটিজমের নামে ভর্ৎসনা শুনেছেন। ‘সিমরন’এর বিতর্কিত লেখক অপূর্ব আসরানি ভেবেছিলেন, নেপোটিজমের দাওয়াই কঙ্গনাকে ফেরত দেবেন! টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘কঙ্গনা নিজের বোন রঙ্গোলিকে নিজের ম্যানেজার বানিয়েছে। নেপোটিজম থেকে তার মানে ও-ও দূরে নেই’! কিন্তু এবার অপূর্ব আর কঙ্গনার উত্তর পাননি। উত্তরটা তাঁকে সপাটে দিয়েছেন রঙ্গোলি নিজে। পরপর পাঁচ-ছ’টা টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়়াশোনা করেছি। এমএসসি টপার। কিন্তু অ্যাসিড অ্যাটাক ভিক্টিম বলে কোথাও কাজ করতে যাওয়ার কনফিডেন্স পেতাম না। কঙ্গনা আমাকে ইন্ডাস্ট্রিতে এনেছে, যাতে আমি কনফিডেন্স ফিরে পাই। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি। এটাকে নেপোটিজম বলে না। ভালবাসা বলে। যেটা তোমার মধ্যে একফোঁটাও নেই, অপূর্ব’!
×