ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রস্তাবে সাড়া নেই উত্তর কোরিয়ার

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ২১ জুলাই ২০১৭

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রস্তাবে সাড়া নেই উত্তর কোরিয়ার

অনলাইন ডেস্ক ॥ দুই কোরিয়ার মধ্যে সামরিক পর্যায়ে আলোচনার যে প্রস্তাব সিউল দিয়েছিল, পিয়ংইয়ং তাতে সাড়া দেয়নি। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সরকার উত্তরের কাছ থেকে আলোচনার ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সোমবার দক্ষিণের কাছ থেকে সীমান্তবর্তী টঙ্গিলগাক ভবনে ২১ জুলাই দুই কোরিয়ার মধ্যে সামরিক বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে সাড়া না মেলায় আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে নতুন প্রেসিডেন্ট মুনের আশায় ছেদ পড়লো। চলতি বছরের মে মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর মুন উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এ মাসের মাঝামাঝি পিয়ংইয়ং-এর পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আগের তুলনায় আরো বেশি চাপ দিতে আলোচনার প্রয়োজন বলে মন্তব্যও করেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুন সাং-গিউন জানান, উত্তরের সাড়া না পাওয়ায় শুক্রবারের আলোচনা সম্ভভ হচ্ছে না। “কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থায়িত্বের জন্য এবং উত্তর ও দক্ষিণের মধ্য উত্তেজনা নিরসনে সামরিক পর্যায়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে,” সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন তিনি। দক্ষিণের এই আলোচনার প্রস্তাব বহাল থাকবে বলেও মন্তব্য করেন সাং-গিউন; বলেন, তারা উত্তরের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকবেন। চলতি মাসের ৪ তারিখ উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর দক্ষিণের তরফ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়; উত্তর কোরিয়া ওই ক্ষেপণাস্ত্রে পারমানবিক ওয়ারহেড লাগানো হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে। ধারাবাহিক পারমানবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হে গত বছরের শেষদিকে উত্তর কোরিয়ার ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা জারি করায় তখন থেকেই দুই দেশের সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর আগে ২০১৬-র শুরু থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করলেও দক্ষিণের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় জাতিসংঘ উত্তরের ওপর নতুন করে আরও অবরোধের ঘোষণা দেয়। তবে এতকিছুর পরও ২০১৬ সালে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায় বলে ব্যাংক অব কোরিয়া জানিয়েছে।
×