অদ্ভুত বিয়ে

এভারেস্টে বিয়ে : ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টো শহরের এই যুগলের জন্য ঐতিহ্যগতভাবে বিয়ে যথেষ্ট ছিল না। তারা চেয়েছিলেন অভিনব কিছু। তাই জেমস সিসম এবং আশলে স্কমিয়েডার গত ১৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে, বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হোন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭ হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতে এভারেস্টের বেজ ক্যাম্পে! তারা বিশ্বের প্রথম দম্পতি যারা নেপালে অবস্থিত সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে বিয়ে করেছেন। এ্যাডভেঞ্চার ফটোগ্রাফার চার্লিটন চার্চিল এই বিয়ে নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি তৈরি করেন। বিমানের ডানার ওপরে বিয়ে : ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট, যুক্তরাজ্যের এক দুঃসাহসী দম্পতি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০০ ফুট ওপরে তাদের বিয়ের কাজটি সারেন। এটা কোন পাহাড়ের ওপর বা কোন উঁচু অট্টালিকার ওপরেও না। চলন্ত বিমানের ডানার ওপরে বিশেষ ব্যবস্থায় দাঁড়িয়েই তারা এই অভিনব বিয়ে সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি তিনটি বিমান চলছিল। এর মধ্যে একটি বিমানের ডানার ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন ২৪ বছর বয়সী বর ড্যারেন ম্যাকওয়াল্টারস, আর তার পাশের আরেকটি বিমানের ডানার ওপর বিয়ের গাউন পরে দাঁড়িয়ে ছিলেন কনে ২৩ বছর বয়সী কেটি হজসন। কবরস্থানে বিয়ে : বিয়ের দিন মৃত বাবা মায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করাটা সাধারণ ঘটনা, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার এক যুগল ২০১২ সালের ১৯ মে তারিখে কবরস্থানে বিয়ের শপথ পাঠ করায় ব্যাপারটা আর মামুলি থাকেনি। সবার কাছে বিয়ের শপথের জন্য এই জায়গাটা একটু বেমানান লাগলেও ডায়ান ওয়ালার এবং র‌্যান্ডি কিজারল্যান্ড বলেন, জীবনের এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিনে বাবা মাকে সঙ্গে রাখার এটাই সবচেয়ে উত্তম উপায়। অনেকে অবশ্য এই বিয়েকে ভাল চোখে দেখেনি। সেতুর ওপর বিয়ে : এটা ছিল প্রথম দেখায় প্রেম, যখন ওয়েটারার বারট্রান্ড রোডের সেতুর ওপর জেরার্ড ওয়ালেস এবং সামান্থার দেখা হয়েছিল। প্রথম দেখায় প্রেমের সেই জোয়ার শেষমেষ বিয়ের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত গড়ায়। তাই নিউজিল্যান্ডের এই যুগল উক্ত সেতুকেই তাদের বিয়ের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছিল। বিয়েতে সামান্থা তার বন্ধুদের সঙ্গে সেতুর ওপর বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়ে শপথ গ্রহণ করেছিল। প্রেমের সাক্ষী এই কাঠের সেতুকে সামান্থা তার বিয়ের সাক্ষীও করেছিল। পানির নিচে বিয়ে : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি দ্বীপ এলাকায় পানির নিচে স্থাপিত যিশু খ্রিস্টের ভাস্কর্যের সামনে ২০১৫ সালে মিয়ামির এক দম্পতি বিয়ের শপথ নেন। উপকূল থেকে ৫ মাইল দূরে ২৫ ফুট পানির নিচ অবস্থিত এই ভাস্কর্যের সামনে কিম্বার্লি ট্রিওলেট এবং জর্জ রদ্রিগেজ তাদের বিয়ে করার স্থান হিসেবে বেছে নেয়। ১৯৬৫ সালের ২৫ আগস্ট পানির নিচে স্থাপিত যিশু খ্রিস্টের এই ভাস্কর্যটির ৫০তম বার্ষিকীতে এই দম্পতি বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। মাইনাস ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিয়ে : সাইবেরিয়ান শহর ক্রাসনয়ারস্কে এনিসেই নদীর তীরে খোলা জায়গায় মাইনাস ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ভীষণ ঠা-ায় ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি, সার্গেই কাউনোভ এবং তার বাগদত্তা ইরিনা কুজমেনকো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যারা বরফে গা ভাসাতে পছন্দ করে সেরকম একটা লোকাল ক্লাবের সদস্য ছিল সার্গেই। বরফের পরিবেশে বিয়ে করার মতো অদ্ভুত একটা স্বপ্ন তৈরি হয়েছিল, তবে তার বাগদত্তা এই নিম্নচাপের আবহাওয়া কখনোই পছন্দ করত না। সার্গেইয়ের প্রতি তার ভালোবাসার কারণেই সে এই অভিনব প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল। অ্যাপল স্টোরে বিয়ে : এ্যাপল পণ্যের দারুণ ভক্ত জোশ এবং টিং লি নামের এক আমেরিকান যুগল। এ কারণে এ্যাপল স্টোরেই তারা তারা তাদের বিয়ের কাজ সেরে ফেলেন। নিউ ইয়র্কের এই কাপল শহরের ফিফথ এভিনিউতে অবস্থিত এ্যাপল স্টোরে ২০১০ সালে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’তে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। আইফোন ব্যবহার করে তারা তাদের শপথ পাঠ করে এবং আংটি বদলের কাজটিও সারে এ্যাপলের আইপড আটকানো আংটি দিয়ে। এ্যাপলের এই স্টোরেই পরস্পরের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয়েছিল তারা। প্রথম দেখার স্থানে বিয়ে : রবার্ট এবং মেরিডিথ বনিলা নামের ক্যালিফোর্নিয়ার এক প্রেমিক যুগলের ইচ্ছা হয়েছিল যে, তাদের প্রথম যেখানে দেখা হয়েছিল স্থানীয় কোস্টকোর সেই রিটেইল শপে তারা বিয়ের শপথ গ্রহণ করবেন। ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর মহাধুমধামে তারা সেখানে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কোস্টকো রিটেইল শপ কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছিল সেখানে তাদের বিয়ে আয়োজনে। শপ বন্ধের পর আয়োজন করা হয় বিয়ের অনুষ্ঠানের এবং তাদের সকল আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবরা সেখানে শপে উপস্থিত হয়েছিলেন। জেটপ্যাক বিয়ে : বেশিরভাগ কনেই চায় বিয়ের দিন সে তার বাবার হাত ধরে হেঁটে হেঁটে বিয়ের আসরে যাবে। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ার আমান্দা ভোলফ নামের ২৫ বছর বয়সী এই নারী চাইলেন যে, জেটপ্যাকে করে পানির ওপর দিয়ে নিউপোর্টের বিচে বিয়ের আসরে আসবেন। তার বর গ্রান্ট এংলারও একইভাবে বিয়ের আসরে উড়ে আসেন এবং ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট এমন অভিনব উপায়ে তারা বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে তোলেন। বিয়ের ড্রেসের পরিবর্তে কনে পরেছিল সাদা শর্টস এবং রাশ গার্ড শার্ট আর এংলার পরেছিলেন ওয়েটস্যুট। সূত্র : ওডি