ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বেনজির আবরার

অনলাইনে স্বাবলম্বী নারী

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ২১ জুলাই ২০১৭

অনলাইনে স্বাবলম্বী নারী

অনলাইন শপিং এখন বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় নাম। এতে করে শুধু কেনাকাটাই সহজ হয়ে যায়নি বরং অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। তরুণরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে এই ব্যবসা শুরু করছেন। ফলও আসছে ভাল। নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার বেশ দারুণ উদ্যোগ হতে পারে এই অনলাইন ব্যবসা। সেই ধারণা থেকেই ২০১৪ সালে মাত্র ৩ হাজার ৫০০ টাকা মূলধন নিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করেন তরুণ কাজী নিশাত। নাম রাখেন স্টাইলিশ শপিং। কাজী নিশাতের জন্ম ১৯৯১ সালের ১০ এপ্রিল। ভোলা জেলায় নানাবাড়িতে। আর বেড়ে ওঠা অর্থাৎ শৈশবের বড় একটি অংশ কেটেছে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায় অবস্থিত পৈত্রিক নিবাস কাজী বাড়িতে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু ফরিদপুরেই। প্রথম দিকে বিভিন্ন রকমের পণ্য বিক্রি করলেও বছরের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত লেডিস হ্যান্ডব্যাগ বিক্রি করে চলেছেন। যেহেতু অনলাইন বিজনেস বিশ্বস্ততার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল তাই শুরু থেকেই অর্ডার পাওয়া থেকে ক্রেতার কাছে ব্যাগ পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রেখে, ধারাবাহিকভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করেন বলে জানান নিশাত নিজেই। তিনি বলেন, ক্রেতাকে সাশ্রয়ী মূল্যে ভাল একটি পণ্য দিতে চাই সব সময়। অনলাইন লেডিস হ্যান্ডব্যাগ সেক্টরে স্টাইলিশ শপিং অনেক মেয়েরই প্রথম পছন্দ। স্টাইলিশ শপিং দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্যাগ আমদানি করে সুলভ মূল্যে হোম ডেলিভারি সার্ভিস দিয়ে থাকে। তবে এই অবস্থান একদিনে আসেনি। নিশাত বলেন, শুরুর পথটা মসৃণ না হলেও পরিবার ও আশপাশের বন্ধুবান্ধবদের অশেষ সহায়তায় কাজ অনেকখানি সহজ হয়ে গেছে। নিশাত পড়াশোনা শেষ করেছেন ইডেন মহিলা কলেজ থেকে। এরপর নিজে কিছু করার ইচ্ছা ছিল। তখনই মাথায় আসে স্টাইলিশ শপিং নামের এই প্ল্যান। তাকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন দেন তার বাবা কাজী সাজ্জাদ হোসেন। সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি ও স্বামীর সাপোর্টের কথাও জানান তিনি। বর্তমান ব্যবসায়ের অবস্থা সম্পর্কে বলেন, প্রতিদিন গড়ে ২০টির মতো অর্ডার থাকে ব্যাগের। যা অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাগের দোকানের মতোই, মাস শেষে ভাল রকমের মুনাফাও থাকে বলে জানালেন তিনি।
×