ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্পের নক্সা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২১ জুলাই ২০১৭

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্পের নক্সা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে গৃহীত মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্প্রসারণের দুটি প্রকল্পের নকশা উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্প দুটি হচ্ছে- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালসমূহের উন্নয়ন এবং সরকারী কলেজসমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্প ও প্রস্তাবিত- শের-ই-বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (নারী শিক্ষা মন্দির) এবং শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ শীর্ষক প্রকল্প। সকালে তার কার্যালয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্প দুটির নকশা উপস্থাপন করা হয়। খবর বাসসর। প্রথমটি ৪ হাজার ৬৪০ কোটি টাকার এবং দ্বিতীয়টি এক হাজার ৮০৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা নকশা দুটি উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী সøাইড দেখেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা, উন্মুক্ত বারান্দা, জরুরী বহির্গমন পথ, ফায়ার এ্যালার্ম ইত্যাদির অবশ্যই ব্যবস্থা থাকা উচিত। এসব সতর্কতামূলক এ্যালার্ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টয়লেটগুলোতেও থাকা উচিত বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ড. সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শিক্ষা সচিব মোহম্মদ সোহরাব হোসেইনও উপস্থিত ছিলেন। গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এই প্রকল্প দুটি অনুমোদিত হয়। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত মাদকের বিরুদ্ধে পুনরায় তার কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যেই ইয়াবা চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ইতোমধ্যেই মিয়ানমারের সীমান্তসংলগ্ন নাফ নদীতে কিছুদিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। কারণ এখান থেকেই মাছ ধরা নৌকায় করে ইয়াবা মাদক পাচার হয়। এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অসংক্রমণ ব্যধি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিষয়ে ‘বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন’র একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর বাসস’র। ‘বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন’র সভাপতি এবং জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব) আব্দুল মালিক ১০ সদস্যের এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশে মাদক সেবন এবং মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি রোগ নিরাময়ে চেয়ে প্রতিবন্ধকতার প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন’র সদস্যরা নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং মানসিক রোগ নিরাময়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিলে এ বিষয়টি আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপের তথ্যও এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরই স্বাস্থ্যসেবার আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে চিকিৎসাক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নত যন্ত্রপাতির সন্নিবেশন ঘটায়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, কাজী রফিকুল আলম, অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ, ডাঃ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকী এবং অধ্যাপক একেএম মহিবুল্লাহ প্রতিনিধি দলে ছিলেন।
×