ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চৌহালী নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধে আবারো ধস

প্রকাশিত: ০২:০৬, ২০ জুলাই ২০১৭

চৌহালী নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধে আবারো ধস

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা সদর যমুনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় নির্মাণাধীন নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধের ৫০ মিটার এলাকাজুড়ে বৃহস্পতিবার আবারও ধস দেখা দিয়েছে। বুধবার এ প্রকল্পের ৩০ মিটিার ধসে গেছে।এ নিয়ে একই প্রকল্পের বিভিন্ন পয়েন্টে ৭ দফায় ধস দেখা দিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খাস কাউলিয়া ইউনিয়নের চর জাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় ধস দেখা দিয়েছে। স্থানীরা জানান, ২০১৫ সালে যমুনা নদীর ভাঙ্গন থেকে চৌহালী উপজেলা সদর রক্ষায় বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে চলতি বর্ষা মৌসুমে ৭ দফায় এ প্রকল্পের বিভিন্ন পয়েন্টে ধস দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে আবারও চর জাজুরিয়া পয়েন্টের অন্তত ৫০ মিটার এলাকাজুড়ে ধস দেখা দেয়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা, আলিয়া মাদ্রাসা, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসবিএম মহিলা কলেজ, বালিকা বিদ্যালয়সহ বেশকিছু স্থাপনা। ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। এর আগে ২মে ও ১৬ মে, ৮ জুন ও ২৩ জুন, ৩ জুলাই ও ৭ জুলাই এ প্রকল্পটির বিভিন্ন অংশ ধসে যায়। চৌহালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, যমুনার পানির তীব্র স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চর জাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় ধস দেখা দেয়। দুপুর পর্যন্ত এ বাঁধটির প্রায় ৫০মিটার ধসে গিয়ে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয় বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে বালিভর্তি জিওব্যাগ নিক্ষেপ করে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। যমুনা একটি অনিয়ন্ত্রিত নদী। কোথায় কখন ভাঙ্গে বোঝা যায় না। ভাঙ্গন ঠেকাতে বালিভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ বলেন, তবে বার বার ধসের কারণে আমরাও বিব্রত। বিষয়টি পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালককে বহিত করা হয়েছে।
×