ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামির বাড়িতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে

প্রকাশিত: ২১:৫২, ১৯ জুলাই ২০১৭

ভারতের ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামির বাড়িতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক ॥ দক্ষিণ কলকাতায় জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার মোহাম্মদ শামির বাড়িতে হামলা ও হুমকির ঘটনার পরে তাঁর বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশি সূত্রের খবর, শনিবার রাতের হামলার পরেই যাদবপুরের কাটজুনগরে শামি যে-এলাকায় থাকেন, সেখানকার নিরাপত্তায় পুলিশি টহল এবং নজরদারি কয়েক প্রস্ত বাড়ানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘জাতীয় দলের ওই ক্রিকেটার নিজে থেকে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা না-বললেও আমরা এলাকার নজরদারিতে কড়াকড়ি করছি।’’ আজ, বুধবারেই শামি শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য শহর ছাড়ছেন। কিন্তু তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা যাতে কোনও ভাবেই বিঘ্নিত না-হয়, সেই জন্য মোটরসাইকেলে টহল এবং সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি চলবে। পুলিশ জানাচ্ছে, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে যাদবপুর থানা এলাকার কাটজুনগরের আবাসনে ফিরছিলেন শামি। আবাসনের গ্যারাজে আগে থেকেই দু’টি গাড়ি থাকায় শামির গাড়িটি আবাসনের বাইরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, শামির গাড়ির পিছনে ছিল একটি মোটরবাইক। গাড়ি ঢোকাতে দেরি হচ্ছে কেন, তা জানতে চেয়ে হইচই শুরু করে দেয় বাইকচালক। ওই সময় আবাসনের কেয়ারটেকার ধ্রুব মণ্ডল এগিয়ে এসে ওই যুবককে চলে যেতে বলেন। যুবকের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। ওই যুবক ‘দেখে নেবো’ বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। শামির স্ত্রী হাসিন জাহান মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, ১০ মিনিট পরে ওই যুবক আরও দু’জনকে নিয়ে আবাসনে ফিরে আসে। মারধর শুরু করে কেয়ারটেকারকে। কেয়ারটেকার দোতলায় উঠে এসে শামির কাছে সাহায্য চান। এক যুবক তাঁর পিছনে পিছনে উঠে আসে। হাসিন বলেন, ‘‘কেয়ারটেকারকে শাসানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ফ্ল্যাটের দরজায় ধাক্কা মারতে থাকে ওই যুবক। শামি ফ্ল্যাটের বাইরে যেতে চাইলেও আমি বেরোতে দিইনি।’’ পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ওই যুবকেরা পুলিশ আসার আগেই চলে যায়। পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়েই ওই আবাসনের সিসিটিভি-র ছবি দেখে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে তিন অভিযুক্ত জয়ন্ত সরকার, স্বপন সরকার ও শিবা প্রামাণিককে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। জয়ন্ত ও স্বপন দু’ভাই। কাটজুনগরের পাশে পোদ্দারনগরে তাদের বাড়ি। অন্য অভিযুক্ত শিবার বাড়ি মথুরাপুরে। সে স্বপনের সেলুনে কাজ করে। গাড়ি পার্কিং নিয়ে ওই আবাসনে মাঝেমধ্যেই গোলমাল হয়। শামির স্ত্রী হাসিন এলাকাবাসীর প্রশংসা করে বলেন, ‘‘পড়শিদের সাহায্য নিয়েই পুলিশ অভিযুক্তদের ধরেছে।’’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×