ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১৬ জুলাই এদেশের জন্য একটি কালো অধ্যায়

প্রকাশিত: ০৩:০২, ১৬ জুলাই ২০১৭

১৬ জুলাই এদেশের জন্য একটি কালো অধ্যায়

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল স্বৈরতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। তিনি কারা অন্তরীন থেকেও দেশকে বাঁচানোর জন্য নির্বাচন চেয়েছিলেন। কারামুক্ত হয়ে তিনি বেগম খালেদা জিয়ারও মুক্তির দাবি জানান। গণতন্ত্রের এমন উদাহরণ বিরল। একারণেই তিনি গণতন্ত্রের মানসকন্যা। এখনও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারা অন্তরীন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা এবং বর্তমান সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৬ জুলাই এদেশের জন্য একটি কালো অধ্যায়। সেদিন মিথ্যা মামলা দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতার করে এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল স্বৈরতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তার গ্রেফতারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ গর্জে ওঠে। তারা কঠিন আন্দোলনে নামে। তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রায় ১১ মাস পর তারা শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, এখনও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার হাতকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন গমন নিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন গমন আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। জানি না তিনি ওখানে দেশকে নিয়ে কী ধরণের ষড়যন্ত্র করছেন। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন এদেশে তিনি তা কায়েম করতে পারবেন না। এদেশের জনগন তাকে সফল হতে দিবে না। অধ্যাপক আখতারুজ্জামান শুরুতেই ১৬ জুলাইয়ের কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং দুঃসময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০০৭ এর ১৬ জুলাইয়ের আগেও জননেত্রী ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাকে বহুবার হত্যার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। ১/১১ সরকার আসার পর এ ষড়যন্ত্র আরো গভীরে গিয়ে পৌছায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রকারীদের আক্রোশে পরিণত হন। ১৬ জুলাই তিনি কারা অন্তরীন হয়ে তিনি একটি মেসেজ দিলেন। সেটি হলো মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচন হতে হবে। কারা অন্তরীন হয়েও তিনি রাজনৈতিক মতাদর্শ ধরে রেখেছেন। সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গণতন্ত্রকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের নেত্রীকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করে। প্রতিবাদে সেইদিন ছাত্রলীগ আন্দোলন করেছিল। যে কোনো কঠিন মূহুর্তে ছাত্রলীগ নেত্রীর পাশে ছিল এবং সবসময় পাশে থাকবে। সেনা সমর্থিত ১/১১ এর তত্ত্ববাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
×