ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জনগণকে বিভ্রান্ত না করে নির্বাচনে এসে জনগণের ভোটের জন্য লড়াইয়ে নামুন: নাসিম

প্রকাশিত: ০১:৪৯, ১৬ জুলাই ২০১৭

জনগণকে বিভ্রান্ত না করে নির্বাচনে এসে জনগণের ভোটের জন্য লড়াইয়ে নামুন: নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিএনপি নেত্রীকে নির্বাচনে এসে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচন বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে বিএনপি’র নতুন আবদারের কোনো সুযোগ নাই। জনগণকে বিভ্রান্ত না করে আগামী নির্বাচনে এসে জনগণের ভোটের জন্য লড়াইয়ে নামুন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচনের উদাহরণ দেখিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থাকে মজবুত করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে তিন মাসে সরকারি কর্মকর্তা বিশেষ করে নির্বাচন তদারকি কাজে নিয়োজিত জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বদলী পদায়ন নির্বাচন কমিশনের উপরই ন্যস্ত থাকে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকে না। রবিবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁও-এ জরুরি প্রসূতি সেবায় ২০১৬ সালে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ইউনিসেফ এর সহায়তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী গত বছর জরুরি প্রসূতি সেবায় সফল ভূমিকা রাখার জন্য ৫৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার তুলে দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও শক্তিশালী নেতৃত্বে দেশের যেমন উন্নয়ন ঘটছে, তেমনি বহিঃবিশ্বেতে বাংলাদেশ আজ শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করছে, একথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিকখাতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে একটি উন্নত আয়ের রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শেখ হাসিনার দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বকে আগামীতেও জনগণ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। সম্প্রতি সীতাকুন্ডে পুষ্টিহীনতায় কয়েকজন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পুনরায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবে শিশুর মৃত্যু বড়ই বেদনাদায়ক। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা হাসপাতালগুলোতে আজ আধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করে উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসক উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। তবুও প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সচেতনতার অভাবে এই আধুনিক চিকিৎসা নিতে পারছে না। এ জন্য দূরবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতা কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ ও চিকিৎসক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগের সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত, এমনকি আন্তর্জাতিক গবেষণাগুলোও বলছে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের চাইতে এগিয়ে। কিন্তু শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবে এদেশের মানুষ যদি এই সাফল্যের ভাগীদার হতে না পারে তা দুঃখজনক। এজন্য জনগণকে সচেতন করে তোলার দায়িত্ব নিয়ে সকলকে কাজ করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি জটিলতা কাটাতে মন্ত্রী বলেন, পদোন্নতি জটিলতা দূর করার জন্য নিজেরা বসে আলোচনা করে একটি সমঝোতায় উপনীত হওয়া জরুরি। এজন্য আদালতের শরনাপন্ন হবার কোনো প্রয়োজন নাই। এধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য নিজেদের মধ্যে সমঝোতার পথ খুঁজে বের করাই সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা।
×