ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ১৬ জুলাই ২০১৭

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ে ইটিআই অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়। সাতটি কর্ম পরিকল্পনা সামনে রেখে বই আকারে এই রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে ইসি। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘এটি সূচনা দলিল। নির্বাচনের পথে কাজের জন্য এ কর্ম পরিকল্পনাই সব নয়। সংযোজন-পরিমার্জন করে সবার মতামত নিয়ে আমরা কাজ করব। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যয় নিয়ে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।’ সংলাপে রাজনৈতিক দলসহ সব ধরনের অংশীজনের সুপারিশের পাশাপাশি সবার সহযোগিতা চান সিইসি। কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হলেও তফসিল ঘোষণার পর থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির অধীনে প্রশাসনিকসহ সব ধরনের কাজের তদারকি শুরু হবে বলে জানান কে এম নূরুল হুদা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিন নির্বাচনী আইন-বিধি অনুযায়ী আমরা কাজ করব। এ মুহূর্তে সরকার কীভাবে পরিচালনা হবে ও রাজনৈতিক কর্ম পরিবেশ কেমন হবে, সে বিষয়গুলো আমাদের এখতিয়ারে নয়।’ সরকারের কার্যক্রমে এখনই কমিশন হস্তক্ষেপ করবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন শুধু সরকার কেন, রাজনৈতিক দল অথবা যে কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রভাবমুক্ত করতে পারব আমরা।’ তিনি জানান, তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত সাত অনুষঙ্গ ধরে কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে কাজগুলো এগোনো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ইসির কাজে কোনো কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী রোডম্যাপের প্রসঙ্গের বাইরে সম্প্রতি রাজেনৈতিক নেতার বাসায় ‘সামাজিক অনুষ্ঠানে’ পুলিশের বাধা দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। এ ধরনের ‘রাজনৈতিক তৎপরতায়’ বাধা দেওয়ার বিষয়ে ইসির কোনো পদক্ষেপ থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের বিষয়। আমরা তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখায় যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এখন সরকারের কাছে কোনো অনুরোধ থাকবে না। তবে তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে অনুরোধ করা হবে।’ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার ধারণ করে নির্বাচন কমিশন একটি কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিয়ে ৭টি করণীয় বিষয় শনাক্ত করেছে। সেগুলো হলো আইনি কাঠামোসমূহ পর্যালোচনা ও সংস্কার, কর্ম পরিকল্পনার ওপর পরামর্শ গ্রহণ, সংসদীয় এলাকার নির্বাচনী সীমানা পুনঃনির্ধারণ, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করণ এবং বিতরণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা এবং নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সকলের সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ। ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্র সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
×