ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিটি উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা ॥ সংসদে শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৯:০০, ২৯ জুন ২০১৭

প্রতিটি উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা ॥ সংসদে শিক্ষামন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ সকলের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সাধারণ বা বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি আরো জানান, বর্তমানে দেশে ১৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এরমধ্যে ৩৯টি সরকারি ও ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সন্মান) পর্যায়ে ভর্তির জন্য মোট ৬ লাখ ২৬ হাজার ৩৫৮টি আসন আছে। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এতথ্য জানান। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম পিনু খান। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সাধারণ ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের ২০০৯ সাল হতে এ পর্যন্ত ৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। আর ৪২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সরকারী দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে নূরুল ইসলাম নাহিদ জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নামে আরো দু’টি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রীপরিষদ কর্তৃক আইনের খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তরিকত ফেডারেশনের সদস্য এম এ আওয়ালের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিটি উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা পূনর্ব্যক্ত করে শিক্ষামন্ত্রী জানান, যে সকল জেলায় সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেই সকল জেলায় বেসরকারী উদ্যোগকে বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান ও এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নূরুল ইসলাম নাহিদ জানান, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিষয়ভিত্তিক প্রায় দুই হাজার শিক্ষকের পদ শুন্য আছে। সহকারী শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর গ্রেজেডভূক্ত করায় এসকল পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের এখতিয়ারাধীন। এলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিধি সংশোধন করা হয়েছে। এরপর শুন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার লক্ষ্যে কর্মমূখী ও কারিগরি শিক্ষাকে আরো গতিশীল করতে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে সরকারী ভাবে কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে এমপিওভূক্ত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় রয়েছে। বিরোধী দলীয় সদস্য নাসরিন জাহান রত্নার প্রশ্নের লিখিত জবাবে নূরুল ইসলাম নাহিদ জানান, যে সকল উপজেলায় সরকারী কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই সেই সকল উপজেলায় একটি করে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ করা হবে।
×