ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিএনজির জন্য দীর্ঘ লাইন

গ্যাস বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামবাসীর দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ২৯ জুন ২০১৭

গ্যাস বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামবাসীর দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বন্ধ বিবিয়ানার গ্যাস উত্তোলন। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখায় বুধবার চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয় পরিবহন সেক্টরে। চট্টগ্রামেও সকল রিফুয়েলিং স্টেশন গ্যাস বিতরণ বন্ধ রাখায় সিএনজিচালিত যানবাহনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলতে পারেনি। সড়কে যানবাহন চলাচল কমে যাওয়ায় ঈদের বেড়ানো এবং গ্রাম থেকে শহরমুখী যাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার সকল ফিলিং স্টেশনে একযোগে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল এ অচলাবস্থা। আকস্মিকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় অনেক যানবাহন রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে পড়ে। তাদের অভিযোগ, গ্যাস সরবরাহ যে বন্ধ থাকবে তা ভালভাবে প্রচার করা হয়নি। এমন জানলে অনেকেই গাড়ি নিয়ে বের হতেন না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম নগরীর রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে দেখা যায়, যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। বিশেষ করে সিএনজি অটোরিক্সা এবং প্রাইভেট কারের সারি ছিল অনেক লম্বা। গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় স্টেশনগুলো প্রবেশমুখে দড়ি বেঁধে ও বাঁশ ফেলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। গ্যাস না পেয়ে অনেক যানবাহনই বেকায়দায় পড়ে। এছাড়া যানবাহন কম থাকায় ভাড়াও বেড়ে যায় অনেক। চট্টগ্রাম নগরীতে রয়েছে প্রায় অর্ধশত ফিলিং স্টেশন। এছাড়া নগরীর বাইরে জেলার আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এবং হাটহাজারী রুটের স্টেশনগুলোতেও একই চিত্র। গ্যাস সরবরাহ বন্ধের প্রচার ভালভাবে হয়নি বলে অভিযোগ যানবাহন চালক এমনকি যাত্রীদেরও। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। যেহেতু তিতাস থেকে সরবরাহ বন্ধ, সেহেতু কর্ণফুলীও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। এতে করে চট্টগ্রামের সরবরাহ ব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বন্ধ থাকে। কিছু কিছু রিফুয়েলিং স্টেশন অনেকটা রেশনিং পদ্ধতিতে গ্যাস সরবরাহ করে। এতে করে দীর্ঘ লাইন পড়ে যানবাহনের। গ্যাস পেতে যানবাহনগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়। তবে যানবাহনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকলেও শিল্প কারখানা এবং আবাসিকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল।
×