ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন স্থগিত ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:১৯, ২৮ জুন ২০১৭

ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন স্থগিত ॥ প্রধানমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আগামী দুই বছরের জন্য ভ্যাট আইন স্থগিত এবং ব্যাংক আমানতের ওপর আরোপিত আবগারী শুল্ক তিন স্তরে নামিয়ে আনার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, বাজেট হচ্ছে জনগণের কল্যাণের জন্য। সেই জনগণের কোন দুর্ভোগ হোক, কষ্ট হোক আমরা তা চাই না। অর্থমন্ত্রীও চান না। আর আওয়ামী লীগ হচ্ছে উন্নয়নের সরকার। অতীতের মতো আমরা পরনির্ভরশীল হয়ে থাকবো না। বিদেশের কাছ থেকে ভিক্ষা, অনুদান নিয়ে নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট দিয়েছি। আমরা বাজেটের ৯০ ভাগ প্রকল্পই নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। এ জন্য তিনি দেশবাসীর সহযোগিতাও কামনা করেন। বাজেট বাস্তবায়নে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে না বলে বেসরকারি খাতকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ঋণের যে সীমা, তার মধ্যেই থাকবে। বাড়তি ঋণ সরকার নেবে না, ফলে আর্থিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এটা আমি কথা দিতে পারি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। অতীতেও জিডিপির ৫ ভাগ ঘাটতি ছিল, এবারও তাই থাকবে। একটুকুও বাড়বে না। আর আমাদের বাজেটের সবচেয়ে বড় অর্জনই হচ্ছে আমরা দেশের ধনী-গরিবের বৈষম্য হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছি। সামাজিক নিরাপত্তাকেও আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। কোন উচ্চবিলাস নিয়ে আমরা ক্ষমতায় আসিনি। দেশের মানুষ কীভাবে ভাল থাকবে, সুন্দর জীবন পাবে- সেটিই আমার মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা ধারাবাহিকভাবে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে পারবো। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ওপর সমাপনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রায় দেড় ঘন্টার দীর্ঘ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জনগণ ও ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী ভ্যাট আইন স্থগিত এবং ব্যাংকের আমানতের ওপর আরোপিত আবগারী শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করলে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা একযোগে টেবিল চাপড়িয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রায় এক মাস ধরে চলা প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রাণবন্ত আলোচনা শেষ হয়। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটটি পাস করা হবে। সমাপনি বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সারা পৃথিবীই এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। পেছনে পড়ে থাকলে চলবে না। আমাদেরও সবকিছুতে পরিবর্তন আনতে হবে। সেজন্যই এবারের বাজেটে অর্থনৈতিক খাতে বেশকিছু সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে। যাতে আমরা আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি। দেশবাসীকে উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট ও ট্যাক্স যা আদায় হয় তা তো দেশের কল্যাণ ও উন্নয়নেই ব্যয় হয়। সব কিছু চাইবো কিন্তু কিছুই দেব না- এমনটা হলে তো চলবে না। কর না দিলে তো আপনারাই পিছিয়ে পড়বেন। ভিক্ষা নিয়ে কেউ সম্মানের সঙ্গে চলতে পারে না। আমরা চাই- দেশের একটি মানুষ গৃহহারা থাকবে না, প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে- সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে দেশের মানুষকে ভালবাসতে শিখেছি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দেশের সব মানুষ সুন্দর ও উন্নত জীবন পাবে- তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণেই কাজ করে যাচ্ছি। অতীত সরকারগুলোর মতো ক্ষমতাকে ভোগ-বিলাসের বস্তু হিসেবে দেখিনি। দেশের মানুষ ভাল আছে কি না সেটিই আমার কাছে সবচেয়ে বড়। আজ প্রধানমন্ত্রী আছি, না থাকলে চলে যাব। আমি নিজের পায়ে হাঁটতে পারি, রিস্কা-ভ্যানে চড়তে পারি- বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে সব অভ্যাসই আমার আছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় এখন বিমানে প্রথম শ্রেনীতে যাচ্ছি, না থাকলে ইকোনোমিক ক্লাসে চড়ে যাব। আমার পরিবার সেই শিক্ষাই আমাদের দিয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর পরনের তাঁতের শাড়ি দেখিয়ে বলেন, উচ্চাভীলাস নিয়ে আসিনি। আজ যে তাঁতের শাড়িটি পড়ে এসেছি, সেটা আমার মেয়ে আজ কিনে দিয়েছে। শাড়ির দাম চেয়েছিল সাড়ে ছয় হাজার টাকা। কেনার সময় মেয়েরা ৫শ’ টাকা কম দিয়েছে। আমি মেয়ে ও জামাইকে বললাম- ৫শ’ টাকা কম না দিয়ে বরং ৫শ’ টাকা বেশি দিয়ে আসার দরকার ছিল। জবাবে তাঁরা বললো- কিনতে গেলে একটু তো বার্গেনিং করতেই হয়। তাঁতিরা অনেক কষ্ট করে শাড়ি বোনায়, সেই শাড়িটিই পড়ে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের যেখানেই যাই সবাই বিস্ময় প্রকাশ করেন যে, এতো প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ কীভাবে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও উন্নয়ন করে যাচ্ছে। জবাবে আমি বলি- এটা কোন ম্যাজিক নয়। আমি রাজনীতিই করি দেশের মানুষের জন্য। যে শিক্ষা আমি আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছি। জনগণের জন্য রাজনীতি করি বলেই দেশ সবদিক থেকে আজ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশের মানুষের চাহিদাই পাল্টে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৮১ সালে পরিবারের সকলকে হারিয়ে যখন দেশে আসি, তারা ঘুরে ঘুরে দেখেছি মানুষের পেটে ভাত ছিল না। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক স্থানেই কঙ্কালসার-হাড্ডিসার মানুষ দুর্ভিক্ষে জর্জরিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গ থেকে মঙ্গা শব্দটিই হারিয়ে গেছে। আমরা নিভৃত গ্রাম পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া পৌছে দিয়েছি। দেশের মানুষের এখন খাদ্যের কোন অভাব নেই। তাঁদের এখন চাহিদাও বদলে গেছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আর ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য বঙ্গবন্ধুসহ আমার পুরো পরিবার জীবন দিয়ে গেছেন। সেই বাংলার মানুষের উন্নত জীবন দিতে একটু ভাল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি দেশবাসীরও সহযোগিতা চাই। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটে আরও জনমুখী করতে এবং দেশের মানুষের মধ্যে এ বাজেট নিয়ে যেটুকু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে অর্থমন্ত্রীর কাছে তিনটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখেন। তিনি বলেন, নতুন বাজেটের পাসের জন্য অপেক্ষা না করে চাল আমদানীর ক্ষেত্রে আরোপিত শুল্ক ১০ ভাগে নামিয়ে দিয়েছি। তবে দেশে আমাদের খাদ্যের কোন সমস্যা নেই। তাই যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিনই চাল আমদানি হবে, তার পরে নয়। তাই যেটুকু সময় প্রয়োজন ততদিন চাল আমদানীর শুল্ক ১০ ভাগই থাকবে। ব্যাংক সঞ্চয়ী আমানতের ওপর আবগারী শুল্ক নিয়ে সমালোচনার জবাবে সংসদ নেতা বলেন, আগে ব্যাংকে ২০ হাজার টাকার বেশি থাকলেই আবগারী শুল্ক দিতে হত। অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে ২০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতের ওপর শুল্ক মাফ করে দিয়েছেন। অথচ মানুষের মধ্যে তা ভুলভাবে বোঝানো হয়েছে। তিনি এক লাখ থেকে এক কোটি ব্যাংকে সঞ্চয়ী আমানতের ওপর থেকে তিনস্তরে আবগারী শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন। প্রস্তাব অনুযায়ী এক লাখ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত দেড়শ’ টাকা, ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত ৮শ’ টাকার পরিবর্তে ৫শ’ টাকা হবে। ভ্যাট আইন স্থগিতের সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ভ্যাট আইন প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী সব মহলের সঙ্গে প্রায় তিন বছর ধরে আলোচনা করেছেন। ২০১২ সালে জাতীয় সংসদে ভ্যাট আইনটি পাস হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা এই ভ্যাট আইনের ব্যাপারে খুব একটা সাড়া দিচ্ছেন না। তাই ভ্যাটের বিষয়টি আগের মতো থাকবে অর্থাৎ আগামী দুই বছর এই ভ্যাট আইন কার্যকর হবে না। হঠাৎ করেই চালের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কোন খাদ্যের অভাব নেই। সরকার, বেসরকারি, চাল মিলসহ কৃষক পর্যায়ে দেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৮৮ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে অতি বৃষ্টি ও হাওরে অকাল বন্যার পাশাপাশি কিছু ব্যবসায়ীর কারসাজির কারণে চালের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। চাল আমদানীর ওপর আরোপিক শুল্ক কমিয়ে দিয়েছি। এ কারণে খুব শীঘ্রই চালের দাম কমে যাবে বলে আমি আশাবাদী। কিছু ব্যাংকের আর্থীক অনিয়মের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আর্থীকখাতে যেখানে অনিয়ম হয়েছে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা বসে নেই। পুঁজিবাজার নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের পুঁজিবাজারকে আমরা একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও স্বচ্ছ করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শেয়ার বাজারে লেনদেনে কারচুপি বন্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য যে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে, তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমরা বসে নেই, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিশেষ দূত এরশাদকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনি অনেক কথা বলেছেন। এখন সবকিছুর জবাব দিতে পারছি না। সংসদের সমাপনি দিনে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দেব। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের গত ৮ বছরের উন্নয়ন-সফলতাগুলো দেশবাসীর সামনে তুলে ধরে বলেন, আমরা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ১৩৬ ভাগ বাড়িয়েছি। অতীতে অনেকেই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর ঘাড়ে বন্দুক রেখে ক্ষমতা দখল করে রাজনীতিতে অবতরণ করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনোই সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করেনি। বরং আমরাই দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে অত্যাধুনিকভাবে গড়ে তুলেছি। বঙ্গবন্ধু স্থল সীমানা আইন ও সমুদ্রে নিজেদের অধিকার আদায়ে আইন করে গিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খুনী মোশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু তাঁরা কেউ-ই নিজেদের হিস্যা আদায়ে ভারতের কাছে একটি কথা বলতেও সাহস দেখাতে পারেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই ৬৮ বছর পর ছিটমহল নিয়ে সমস্যার সমাধান করেছি। ভারত ও মিয়ানমার থেকে সমুদ্রসীমায় আমাদের বিশাল এলাকার অধিকার নিশ্চিত করেছি। বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপনের জন্য আল্লাহ’র দরবারে শুকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি নিজেদের পরিবারের সঙ্গে ঈদের উৎসব ত্যাগ করে দেশের জনগণকে আনন্দ উপহার দিতে নিরলস পরিশ্রমের জন্য দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, দু’একটি ছাড়া এবারের ঈদে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। বাস, ট্রেন, লঞ্চ, আকাশ পথে নির্বিঘেœ মানুষ ভ্রমন করেছেন। এমনকি আগে ঈদের আগে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি কিংবা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও এবার তেমন একটি ঘটনাও ঘটেনি। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও পরিবারকে নিয়ে ঈদ উদযাপনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তারা নিজেদের আনন্দ ত্যাগ করে জনগণের ঈদ আনন্দ নির্বিঘ্নে করতে দিনরাত কাজ করেছেন। দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসনীয় উদ্যোগের কারণেই এবার সারাদেশে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের মানুষ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন।
×