ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগামীকাল ‍আদালতে যাচ্ছেন খালেদা

প্রকাশিত: ০১:১৯, ২৮ জুন ২০১৭

আগামীকাল ‍আদালতে যাচ্ছেন খালেদা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এই দুই মামলার বিচার চলছে। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মোঃ আখতারুজ্জামান মামলা দুর্নীতি মামলা দুটির শুনানি গ্রহণ করছেন। সানাউল্লাহ মিয়া জানান, আদালতে হাজির হওয়ার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বাসা থেকে বের হবেন। এর আগে গত ২২ জুনও আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আত্মপক্ষ সমর্থন এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য ছিল। এই সঙ্গে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদের পুন:জেরা ওই দিন শেষ না হওয়ায় ফের তাকে জেরা করার দিন ধার্য করেন আদালত। অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষের সমর্থনের জন্যও একই দিন ধার্য করেন আদালত। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত বছরের ০১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে শুরু করেন খালেদা। কিন্তু ওইদিন বক্তব্য শেষ না হওয়ায় সময় চান তিনি। এরপর কয়েক দফায় আদালতে না গিয়ে সময় বাড়িয়ে নেন। এরই মধ্যে গত ০৮ জুন ৩২ তম সাক্ষী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদকে রি-কলের (ফের জেরা) আবেদন জানান খালেদা। আদালত আবেদন মঞ্জুর করলে ওইদিন থেকেই চলছে তাকে আসামিপক্ষের পুন:জেরা। অন্যদিকে উচ্চ আদালতে নানা আবেদন ও অসুস্থতার কথা বলে অরফানেজে আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন বেশ কয়েকবার পিছিয়ে নিয়েছেন খালেদা জিয়া। অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৮ ও ২০১০ সালে মামলা দুটি দায়ের করে দুদক। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুই মামলাতেই বিএনপি নেত্রীর আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি কয়েক দফা পেছানো হয়। আসামিপক্ষের অনাস্থার কারণে কয়েক দফা বিচারকও বদল হয়। খালেদার সর্বশেষ আবেদনে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ১৬ মে এ দুই মামলা ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত থেকে বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামানের আদালতে আসে। ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির মামলা করা হয়। এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়উর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। মামলা হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তেজগাঁও থানায় অন্য মামলাটি করে দুদক। তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলায় আসামির তালিকায় খালেদা জিয়া ছাড়া তার একান্ত রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানের নামও রয়েছে।
×