ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদযাত্রা ছিল নিকট অতীত ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ॥ সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ২৮ জুন ২০১৭

ঈদযাত্রা ছিল নিকট অতীত ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ॥ সেতুমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের ঈদযাত্রা ছিল নিকট অতীত ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই রাস্তাঘাট, সড়ক ও মহাসড়ক ছিল তুলনামূলক ভালো। রেল যাত্রাও ভালো ছিল। নৌযাত্রাতেও ছিল স্বস্তিদায়ক। ঈদ শেষে বুধবার অফিস শুরুর প্রথম দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী ঈদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কোথায় কোথায় ঈদ যাত্রায় সমস্যা হয়েছে এর কারণ জানতে চান। এছাড়া এসব সমস্যা সমাধানে কারা দায়ি ও করণীয় সম্পর্কেও আলোচনা হয়। কর্মকর্তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভবিষ্যতে ঈদে ঘরেও ফেরার ভোগান্তি কমাতে বেশকিছু পরামর্শ তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, যাত্রার আগেই ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছে দিতে সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে বিগত বছরের মত যাত্রীদের যানজটে পড়তে হয়নি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় কাটাতে হয়নি। এ সময় ঈদে ঘরমুখো লাখ লাখ মানুষকে নির্বিঘ্নে যাত্রার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো শেখ হাসিনার সরকারই নির্বাচনের সময় সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে। প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে বিএনপি আন্দোলনে যাবে- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন তো আট বছর ধরে শুনছি, আট বছরে আট মিনিটও তাদের সংঘবদ্ধভাবে রাস্তায় দেখিনি। এমনকি ৫৯৬ জনের কমিটিকেও কোনোদিন দেখিনি। কোনোদিন রাস্তায় এসে একটা স্লোগান দিতে, প্রতিবাদ করতে। দলটির আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে একটা বিষয় দেখেছি, পেট্রোল বোমার ব্যবহার দেখেছি। মানুষ পুড়িয়ে মারা, গাছ কাটা, রাস্তা কাটা, রেল লাইনের ফিসপ্লেট উঠিয়ে দেয়া, বিদ্যুত স্টেশন উড়িয়ে দেয়া, ইলেকশনের বুথ-বাক্স, স্কুল পুড়িয়ে দেয়া- এগুলো দেখেছি। তবে জনগণকে নিয়ে দলটিকে আন্দোলনে দেখিনি। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচন হবে। সংবিধানে যেটা আছে সেটা হচ্ছে, ইলেকশনটা ইলেকশন কমিশনের অধীনেই হবে। কোনো সরকারের অধীনে হবে না। ইলেকশনের সময় যে যে বিষয়গুলো, যে যে মন্ত্রণালয় এবং সংস্থা ইলেকশন রিলেটেড সেগুলো কিন্তু ইলেকশন কমিশনের অধীনে ন্যাস্থ হবে। তখনকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে যে সরকার, সেই সরকারের কোনো মেজর পলিসি ডিসিশনে কোনো ভূমিকা থাকবে না। এমনকি সে সময় আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টা বেশি প্রয়োজনীয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন- এ দু’টো সরকারের কাছে থাকবে না। ডিসি-এসপিদের দায়িত্ব-কর্তব্য স্থানীয় সরকারের অধীনে নয়, ইলেকশন কমিশনের অধীনে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বিষয়টা পরিষ্কার জানা উচিত। ইলেকশন কমিশনই তখন মূল বিষয়। ইলেকশন কমিশনের অধীনেই তখন নির্বাচন হবে। ‘আর সরকার থাকবে, এ সরকার থাকবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের সময় সরকার যে ভূমিকা পালন করে, এ সরকারও, শেখ হাসিনার সরকারও একই দায়িত্ব পালন করবে। তাদের মূল কাজ হবে একটা সুন্দর, নিরপেক্ষ, ক্রেডিবল, ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা, ফেসিলেটেড করা। এটাকেই বলে সহায়ক সরকার। ফেসিলেটেড মানে হলো সহায়তা করা। কাজে তখন যে সরকার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো ক্ষমতায় থাকবে, সেই সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। তখন এ সরকারই সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে।
×