ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ সময়েও বাড়ির পানে ছুটছে মানুষ

প্রকাশিত: ১৯:৩০, ২৫ জুন ২০১৭

শেষ সময়েও বাড়ির পানে ছুটছে মানুষ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ গত কয়েকদিন পথে ভোগান্তি থাকলেও এক সেট‍া কমে এসেছে। ইতোমধ্যেই ফাঁকা হয়ে গেছে রাজধানী ঢাকা। গত বৃহস্পতিবার থেকেই মানুষের বাড়ির পানে ছুটে চলা শুরু হয়েছে যা এখনো চলমান। আজও মানুষ যাচ্ছে বাড়ির পানে। যে যেভাবে পারছেন পরিবার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন এবং লঞ্চ ঘাটে বাড়ি যাওয়া মানুষের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মধ্যপাচ্য দেশগুলোতে আজ রবিবার ঈদ উদযাপন হচ্ছে আর বাংলাদেশের তার একদিন পর ঈদ উদযাপন হয়ে থাকে। সে হিসেবে আগামীকালই ঈদ হওয়ার কথা। যদিও সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে আগামীকালই ঈদ হচ্ছে ধরে নিয়ে সবাই শেষ সময়েও ছুটছে বাড়ির পানে। রবিবার সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলীতে গিয়ে দেখা গেছে ঘরমুখী মানুষের মোটামুটি ভিড়। গতকাল সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস থাকায় যাত্রী চাপ আজকের তুলনায় বেশি ছিল। গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। আবার যারা বাসের টিকিট কাটেনি তারা টার্মিনালে এসেই লোকাল বাসে করে যাচ্ছেন। মহাখালি বাস টার্মিনালে নেত্রকোনা যাওয়ার জন্য আসা ইমদাদ হোসেন বলেন, পরিবারের অন্য সদস্যদের আগেই গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। ঈদে বাড়ি যেতে অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় তাই। আমি আজ যাচ্ছি। আজ ভিড় খুব একটা নেই। ঝামেলা ছাড়াই মনে হচ্ছে যেতে পারব। তবে একাধিক যাত্রীর অভিযোগ সময় মতো বাস না আসার। এদিকে, কমলাপুরে আজ রবিবারও বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে দেখা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশনে আজও মানুষের ভিড় বেশি। অধিকাংশ যাত্রীই যাচ্ছেন টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে। এর বাইরে টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীরাও ভিড় করেছেন কমলাপুর রেলস্টেশনে। কাউন্টার ও অনুসন্ধান কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ রুটের ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। তবে ২ টি ট্রেন ছেড়েছে দেরিতে। এর মধ্যে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও তা ৭টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে গেছে। ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধুমকেতু, ঢাকা-খুলনা রুটের সুন্দরবন, ঢাকা সিলেট এর পারাবত, ঢাকা চট্টগ্রাম এর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে যথাসময়ে। তবে ঢাকা দেওয়ানগঞ্জ রুটের তিস্তা একপ্রেস আধা ঘণ্টা দেরিতে অর্থাৎ ৮টায় ছেড়ে গেছে। নীলসাগর, এগারো সিন্ধুর প্রভাতী এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেসও ছেড়েছে দেরিতে। নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে গেছে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস। ঈশা খান, জয়ন্তীকা, রাজশাহী এক্সপ্রেস, চট্টলা, কুমিল্লা এক্সপ্রেস, জয়দেবপুর কমিউটার ও মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ভিড় করেছেন কমলাপুর রেলস্টেশনে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষও ভিড় জমিয়েছে সদরঘাটে। যে যার মতো পারছে বাড়ির জন্যে উঠছেন লঞ্চে। ঈদের আগে ভালোভাবে বাড়ি পৌছানোই লক্ষ্য। আর পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া।
×