ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও সাফল্যের প্রত্যাশায় জার্মান কোচ জোয়াকিম

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ২৫ জুন ২০১৭

আবারও সাফল্যের প্রত্যাশায় জার্মান কোচ জোয়াকিম

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ১১ বছর আগে যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন বিশাল এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন তিনি। কারণ সবেমাত্র বিশ্বকাপ শেষ, জার্মানি তৃতীয় হয়েছে নিজেদের দেশে। কোচ হিসেবে জোয়াকিম লো তখনই শুরু করেন। তবে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তিনি। তারপর থেকে বিশ্বকাপ কিংবা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ উভয় আসরে অন্তত সেমিফাইনাল খেলেছে জার্মানি ফুটবল দল। আর গত বিশ্বকাপের শিরোপাই জিতল তারা। এবার আরেকটি মিশনে সেমি প্রায় নিশ্চিত করেছে জার্মানি। রাশিয়ায় চলমান কনফেডারেশন্স কাপে একেবারেই আনকোরা দল নিয়ে এসেছিলেন জোয়াকিম। অস্বাভাবিক কিছু না ঘটলে শেষ চার বলতে গেলে নিশ্চিত হয়েছে। ক্যামেরুনের কাছে ২ গোলের ব্যবধানে না হারলে জার্মানদের সেমি নিশ্চিত। আজ শেষ গ্রুপ ম্যাচে ক্যামেরুনকে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপ সেরা হতে চান তিনি। ‘বি’ গ্রুপে এই মুহূর্তে সেরা লাতিন আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন চিলি। তবে সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানের কারণে এক ধাপ পেছনে জার্মানি। সোচির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে ভাল চ্যালেঞ্জেই পড়তে হবে জোয়াকিম শিষ্যদের। কারণ এ ম্যাচে জেতার জন্য মরিয়া থাকবে আফ্রিকান সিংহরা। জিতলেই তাদেরও সুযোগ থাকবে সেমিতে ওঠার। সেক্ষেত্রে পরিষ্কার দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে ক্যামেরুনকে। কারণ গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় অনেক নিরাপদ অবস্থানেই আছে জার্মানরা। ড্র করলেই সেমিতে পা রাখবে তারা। কিন্তু গ্রুপ সেরা হওয়ার চিন্তা জোয়াকিমের। তিনি বলেন, ‘একটি ড্র যথেষ্ট আমাদের সেমিতে ওঠার জন্য। কিন্তু গ্রুপের সেরা হওয়াটা অনেক ভাল হবে। সুতরাং আমরা আসলে সোচিতেই আমাদের সেমিফাইনাল খেলতে যাচ্ছি।’ ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে দলে কিছুটা পরিবর্তন আনতে চান জোয়াকিম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি পরিকল্পনা করছি যে দুয়েকটি পজিশনে কিছুটা পরিবর্তন আনব। এতে করে কিছু ছেলে বিরতি পেয়ে পুরোপুরি তরতাজা হয়ে উঠতে পারবে এবং কিছু ছেলে সুযোগ পাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার।’ ২০১৪ বিশ্বকাপের আগে সর্বশেষবার ক্যামেরুনের মুখোমুখি হয়েছিল জার্মানি। সেই আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছিল ক্যামেরুন। কিন্তু সর্বশেষ তিন মোকাবেলায় বাকি দুটি ম্যাচেই জার্মানি জিতেছে। তবে এবার একেবারেই ব্যতিক্রমী একটা দল নিয়ে রাশিয়ায় কনফেডারেশন্স কাপ খেলতে এসেছেন জোয়াকিম। বিশ্বকাপ জয়ী দলের সবাইকে বিশ্রাম দিয়ে আনকোরা একটা দল গড়েছেন। আর সেটার জন্য ঝক্কি কম পোহাতে হয়নি জোয়াকিমকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অতিকষ্টে ৩-২ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়েছে তারা। পরের ম্যাচে চিলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। উভয় ম্যাচে ফরোয়ার্ড লারস স্টিনডল গোল করেছেন। তবে সার্বিকভাবে বলতেই হয় এখন পর্যন্ত জোয়াকিমের তরুণ দলটি দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে। স্টিনডলে মুগ্ধ জোয়াকিমও। তিনি বলেন, ‘সে খুবই পরিশোধিত একজন খেলোয়াড়। ম্যাচ নিয়ে তার মেধাটা খুবই বিস্ময়কর। তার পজিশনের চারপাশ সে দারুণ সমন্বয় করে। তার গুণ দিয়ে সে নিশ্চিতভাবেই আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে। সে শান্ত এবং স্বপ্রণোদিত, তার মধ্যে কোন স্নায়ুচাপ কাজ করতে দেখি না। খুব ভাল খেলোয়াড় সে।’ চিলির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে কোন পরিবর্তনই আনেননি জোয়াকিম। ১৯৯৫ সালের পর এটাই র্জামানির কোন প্রথম ম্যাচ ছিল যেদিন আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশই খেলতে নেমেছিল।
×