ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদে রেমিটেন্স বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২৫ জুন ২০১৭

ঈদে রেমিটেন্স বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদের হাওয়া লেগেছে রেমিটেন্সের পালে। গত মে মাসে প্রবাসীরা প্রায় ১২৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। যা চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মধ্যে একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ। এছাড়া চলতি জুন মাসের মাসেও রেমিটেন্স প্রবাহে উর্ধগতি এসেছে। জুনের প্রথম ১৬ দিনে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ৭২ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের। আর মাস শেষে প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাংকাররা বলছেন, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলার ক্রমেই কিছুটা দুর্বল হওয়ায় প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে আগের চেয়ে বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন। এতে ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা বেশি পাচ্ছেন গ্রাহকরা। এছাড়া রোজায় প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন। ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে চলতি মাসে দেশে বড় অঙ্কের প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, রমজান ও ঈদের সময় দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি থাকে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে দেশের রেমিটেন্স প্রবাহে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ১১ মাসের মধ্যে গত মে মাসেই প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি আয় দেশে পাঠিয়েছেন। গত মে মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১২৭ কোটি ডলার। এটি আগের মাস এপ্রিলের তুলনায় ১৬ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় আড়াই শতাংশ বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের (জুলাই-মে) হিসাবে রেমিটেন্স প্রবাহ কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ। অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত এই কমার হার ছিল প্রায় ১৬ শতাংশ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রেমিটেন্স সেবার মান বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ৫টি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পদক্ষেপগুলো হলো- প্রতিটি শাখায় রেমিটেন্স হেল্প ডেস্ক চালু করা; প্রবাস আয়ের বেনিফিসিয়ারিকে (উপকারভোগী) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেমিটেন্স সংক্রান্ত তথ্য প্রদান নিশ্চিত করা; গ্রাহক হয়রানি রোধে প্রতিটি শাখায় প্রবাসী বা প্রবাস আয়ের বেনিফিসিয়ারিদের জন্য আলাদা খাতায় ক্রমানুসারে অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা; পাক্ষিক ভিত্তিতে অভিযোগুলো সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগকে জানানো; এবং প্রবাসীদের জন্য ব্যাংকের নিজস্ব ও সরকারের সব ধরনের বিনিয়োগ সেবার প্রচার করা এবং বৈধ পথে রেমিটেন্স নেয়ার সুবিধা প্রচার করা।
×