ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হুমকির মুখে টেরেসা মে’র হার্ড ব্রেক্সিট

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২৫ জুন ২০১৭

হুমকির মুখে টেরেসা মে’র হার্ড ব্রেক্সিট

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের হার্ড ব্রেক্সিট পরিকল্পনা হুমকির মুখে পড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার বিরুদ্ধে সবগুলো দলের এমপিরা একমত হয়েছেন। আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন একটি পার্লামেন্ট গঠিত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে তারা এ বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট। নতুন পার্লামেন্টে শীঘ্রই অভিবাসন বিলের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন সংশোধনের পরিকল্পনা করেছেন এমপিরা। তারা প্রথমত চান সরকারের মন্ত্রীরা যেন ব্যবসায়ী গ্রুপগুলোর বক্তব্য শোনেন। দ্বিতীয়ত তারা ইইউকে এটি দেখাতে চান যে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সফট ব্রেক্সিটের পক্ষে রয়েছে। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একজন এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে দেশকে বিপজ্জনক দিকে নিয়ে যাচ্ছেন সেটি জেনে বুঝেও কিছু মন্ত্রী নীরব রয়েছেন। কারণ ‘ভয়ভীতি দেখিয়ে’ তাদের মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তারা এখন যে কাজটি করতে যাচ্ছেন সেটি তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করবে বলে এমপিরা আশা করছেন। আরেকজন এমপি বলছেন, পার্লামেন্ট যে ইইউ বান্ধব নীতির পক্ষে রয়েছে ব্রাসেলসের দৃষ্টি সেদিকে আকর্ষণ করা প্রয়োজন। ঐক্যবদ্ধ থাকলে পার্লামেন্টও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে এবং বিষয়টি অসম্ভব নয়। ইইউপন্থী কনজারভেটিভ এমপি আনা সোব্রি বলছেন, ‘আমরা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেছি, এ বিষয়ে আমাদের পারস্পরিক কথাবার্তা অব্যাহত থাকবে। এটি অব্যাত রাখতে পারলে বিল পাসের সময় ভোটে হেরে যাওয়ার আশঙ্কা সরকারের থাকবে। তিনি জানান, ব্রিটেন যেন একক বাজারে থাকে সে লক্ষ্যে তিনি গত এক সপ্তাহে লেবার পার্টির ৩৪ জন এমপির সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। ব্রাসেলসে সদ্য শেষ হওয়া ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নাগরিকরা ব্রিটেনে সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারবে টেরেসা মে সে প্রস্তাব দেন। কিন্তু ইইউ নেতৃবৃন্দ তার প্রস্তাবটিকে তাৎক্ষণিকভাবে সাধুবাদ জানাননি। তারা বলেছেন, ব্রিটেনে ইইউ নাগরিক খারাপ অবস্থায় পড়তে পারে। মে ইইউ নেতাদের এই যুক্তি মানতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও যারা ব্রিটেনে প্রবেশ করবে তাদের দুই বছরের আনুকূল্য সময় পাবে। এই সময়ের মধ্যে তারা ওয়ার্ক পারমিটের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবে। ইইউ নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, ব্রেক্সিট হওয়ার পর ব্রিটেনে অবস্থানরত অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে কি না, তার ওপর নজরদারি করার অধিকার ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের থাকবে। কিন্তু জোট নেতাদের এ দাবির বিরোধিতা করে মে বলেন, ইউরোপীয় নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা বা অধিকারের বিষয়টি ইইউ আইনে আছে কিন্তু তা ব্রিটেনের উচ্চ আদালতগুলো দেখবে।
×