ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যৌথ প্রযোজনার দুটি ছবির মুক্তি নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গন উত্তপ্ত

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৫ জুন ২০১৭

যৌথ প্রযোজনার দুটি ছবির মুক্তি নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গন উত্তপ্ত

মনোয়ার হোসেন ॥ নানা জটিলতায় আক্রান্ত বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় আশার আলো হয়ে আসে ঈদের ছবি। কারণ, উৎসব উপলক্ষে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক সমাগম বেশি হওয়ায় ছবির লগ্নিকারকরা পুঁজি উঠে আসার পাশাপাশি মুনাফার মুখ দেখে। এ বছর ঈদ উৎসবে মুক্তি পাচ্ছে তিনটি ছবি। ছবিগুলো হলো রাজনীতি, নবাব ও বস টু। রাজনীতি ছবিতে শাকিব খানের সঙ্গে নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে অপু বিশ্বাসকে। বস টু ছবিতে কলকাতার নায়ক জিতের সঙ্গে থাকছেন ঢাকার নায়িকা নুসরাত ফারিয়া। আর নবাব ছবিতে শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন টালিউডের নায়িকা শুভশ্রী। যৌথ প্রযোজনার দুটি ছবিরই বাংলাদেশ অংশের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টি মিডিয়া। তবে এই তিন ছবির মধ্যে যৌথ প্রযোজনার দুই ছবি বস টু ও নবাবকে নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চলচ্চিত্র অঙ্গন। দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে গেছে চলচ্চিত্রাঙ্গন। দেশের প্রযোজিত রাজনীতি ছবিটি আগেই সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে। সম্প্রতি তুমুল উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে অনেকটা অনিশ্চয়তার মাঝেও ছাড়পত্র পেয়েছে বস টু ও নবাব। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতি, প্রযোজক সমিতিসহ ১৪ সংগঠনের সম্মিলিত সংগঠন চলচ্চিত্র ঐক্যজোট প্রশ্ন তুলেছে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত যৌথ প্রযোজনার দুই ছবি নিয়ে। এ নিয়ে সদ্য গড়ে ওঠা সংগঠনটির পক্ষ থেকে আন্দোলন হয়েছে। সেন্সর বোর্ড থেকে ছবি দুটি মুক্তি দেয়ার কারণে তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে চলচ্চিত্র পরিবার। জোটের পক্ষ থেকে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে বয়কট করার পাশাপাশি শিল্পী সমিতি থেকে তাঁর সদস্যপদ বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এমনকি এ আন্দোলনের জের ধরে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে যৌথ প্রযোজনার ছবি মুক্তির পক্ষে অবস্থান নেয়া চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ও মধুমিতা প্রেক্ষাগৃহের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদকে। আন্দোলনকারীদের দাবি, বস টু ও নবাব যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের নীতিমালা মেনে নির্মিত হয়নি। এই দুই ছবিতে উভয় দেশের শিল্পী ও কলাকুশলীদের অংশগ্রহণ সমানুপাতিক হয়নি। এদেশের অল্প কিছু শিল্পীকে নিয়ে মূলত ভারতীয় শিল্পী ও কলাকুশলীদের প্রাধান্য দিয়েই নির্মিত হয়েছে ছবি দুটি। অন্যদিকে এই দুই ছবির পক্ষে অবস্থানকারী চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে একাট্টা হয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। এই অংশের দাবি, যৌথ প্রযোজনার নিয়ম-কানুন মেনেই নির্মিত হয়েছে ছবি দুটি। এমন অবস্থায় উভয় অংশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী দিচ্ছে। ফলে তীব্র অস্থিরতা বিরাজ করছে ঢাকাই চলচ্চিত্র শিল্পে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নওশাদ উদ্দিন ইফতেখারের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং এফডিসিতে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী প্রতি হতে শনিবার রাজধানীর একটি রেস্তরাঁয় সংবাদ সম্মেলন হয় চলচ্চিত্র প্রদর্শক, পরিবেশক, প্রযোজক ও বুকিং এজেন্টের ব্যানারে। এতে বলা হয়, যৌথ প্রযোজনার দুই ছবির ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও প্রিভিউ কমিটি যে মতামত দিয়েছে তা অবশ্যই আইন ও নিয়মনীতির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। আইনসম্মত কাজ করতে গিয়ে রিয়াজ, জায়েদ খান, মিশা সওদাগরদের হামলার শিকার হতে হয়েছে নওশাদকে। আমরা অনতিবিলম্বে সভা করে এসব ব্যক্তিকে সারা দেশের সিনেমা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব। এছাড়া ঈদের ছুটির পর সরকার কিংবা এফডিসি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিলে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র জোটের ব্যানারে এফডিসিতে অবস্থান গ্রহণের পাশাপাশি মহাসমাবেশ ডাকা হবে। সংবাদ সম্মেলনে নতুন করে ১৮ সিনেমা হল নির্মাণের ঘোষণা দেয় জাজ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক নওশাদ উদ্দিন ইফতেখার, প্রযোজক ইকবাল হোসেন, হল মালিক সাইফুল ইসলাম, আওলাদ হোসেন প্রমুখ। বর্তমানে যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা বিষয়ে সেন্সর বোর্ডের সদস্য ও চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি নওশাদ উদ্দীন ইফতেখার জনকণ্ঠকে বলেন, সিনেমা হল বাঁচাতে হলে আমাদের চাই ভাল চলচ্চিত্র। বাংলাদেশে এখন ছবির উৎপাদন কমে গেছে। একইভাবেই প্রযোজকের সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। ভাল পরিচালকের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। রাজ্জাক, ববিতা, শাবানা, আলমগীর, কবরী, রোজিনা, সোহেল রানা, সালমান শাহ, শাবনূর কিংবা মৌসুমীর মতো দর্শকপ্রিয় শিল্পীও তৈরি হচ্ছে না। এই শূন্যতা হালআমলের শিল্পীরা পূরণ করতে পারছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নকল গল্প ও শিল্পী সঙ্কটের কারণে এখন দেশী চলচ্চিত্র দিয়ে প্রেক্ষাগৃহ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা যৌথ প্রযোজনা বা বিদেশী ছবির প্রতি ঝুঁকছি। গত বছর ঈদে যৌথ প্রযোজনার ছবি শিকারী ও বাদশাহ মুক্তি পেয়েছে এবং ভাল ব্যবসাও করেছে। তখন তো কেউ আন্দোলন করেনি। হঠাৎ করে এ বছর একটি পক্ষ চলচ্চিত্র পরিবারের নামে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। গত ২১ জুন সেন্সর বোর্ডের সামনে তারা আমার ওপর জঘন্য হামলাও করেছে। পরবর্তীতে সেখানে ফারুক, ডিপজলসহ জ্যেষ্ঠ চলচ্চিত্র শিল্পীরা উপস্থিত হলেও ওই হামলার বিষয়ে তারা সামান্যতম দুঃখও প্রকাশ করেনি। ওই দিনই হামলার জন্য মিশা সওদাগর, রিয়াজ, মুশফিকুর রহমান গুলজানের বিরুদ্ধে রমনা থানায় জিডি করেছি। এই হামলার বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি। চলচ্চিত্র পরিবারের নামে মূলত তারা চলচ্চিত্রশিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। নবাব ও বস টু ছবিতে যৌথ প্রযোজনার ছবির নীতিমালা ভঙ্গ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নীতিমালা সঠিকভাবে প্রয়োগ হয়েছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব সেন্সর বোর্ড ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের। মূলত ছবিতে অশ্লীলতা বা দেশবিরোধী কোন ইঙ্গিত আছে কিনা সেই বিষয়গুলোর বিবেচনায় ছবি মুক্তি দেয়া হয়। এই ঈদে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে উভয় দেশের শিল্পী-কলাকুশলীদের সমান অংশগ্রহণের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব প্রিভিউ কমিটির। তারা ছবি দুটি দেখার পরই ছাড়পত্র দিয়েছে। যৌথ প্রযোজনার ছবির সিনেমা হল মালিকদের আগ্রহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এদেশের চলচ্চিত্র এখন শাকিব খান নির্ভর হয়ে গেছে। অন্য কোন শিল্পীর ছবি তেমনভাবে হিট হয় না। তবে আয়নাবাজির মতো ভিন্ন স্বাদের গল্পের ছবি যখন মুক্তি পায় তখন তো আমরা সেসব ছবিকে ঠিকই লুফে নেই। কিন্তু এরকম একটি বা দুটি বাণিজ্যিক সফল ছবি দিয়ে তো সারা বছরের জন্য কোন প্রেক্ষাগৃহের টিকে থাকা সম্ভব নয়। বর্তমানে জাজ মাল্টি মিডিয়া বছরে পাঁচ-ছয়টি যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ করছে এবং সেই ছবিগুলো ভাল দর্শকও টানছে। তাই প্রেক্ষাগৃহ চালিয়ে যেতে সেসব ছবি আমরা প্রদর্শন করছি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই আছেন যারা এসব যৌথ প্রযোজনার ছবি থেকে বাদ পড়ছেন। সে কারণেই তারা আন্দোলন করছেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু গত পাঁচ-ছয় বছরে কোন ছবি নির্মাণ করেননি অথচ এখন তিনি চলচ্চিত্র বাঁচানোর নামে অযৌক্তিক আন্দোলনে নেমেছেন। নবাব ও বস টু ছবি দুটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুটি চলচ্চিত্রের শূটিং লোকেশন, শিল্পী নির্বাচন, চিত্রায়ন, সঙ্গীতায়োজন ও চিত্রনাট্য ভাল হয়েছে। এমনকি ঈদের অপর ছবি রাজনীতিও ভাল হয়েছে। এ কারণেই তিনটি ছবিই ভাল ব্যবসা করবে বলে আশা করছি। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত যৌথ প্রযোজনার দুই ছবি প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক ও সাবেক চিত্রনায়ক ফারুক জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের অবস্থান যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের বিপক্ষে নয়। এমনকি ভারতবিরোধীও নয়। কিন্তু যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণের নামে যখন নীতিমালা ভঙ্গ হয় তখন আমরা চুপ থাকতে পারি না। আসন্ন ঈদে সেন্সর থেকে ছাড়পত্র পাওয়া নবাব ও বস টু ছবি দুটিতে যৌথ প্রযোজনার যথাযথ নীতিমালা মানা হয়নি। প্রতিটি ক্ষেত্রে নীতিমালা ভঙ্গ করেছে এই ছবি দুটি। নিয়ম অনুযায়ী যৌথ প্রযোজনার ছবিতে উভয় দেশের অংশগ্রহণ সমান হতে হবে। তাহলেই যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে বিতর্ক না হয়ে সেটি হবে অর্থবহ। যৌথ প্রযোজনার ছবিতে উভয় দেশের শিল্পী ও কলাকুশলীদের সমান সমান হতে হবে। উভয় দেশের পরিচালকের চিন্তা-ভাবনার মধ্যে সমন্বয় হতে হবে। ছবির লোকেশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুই দেশের বিভিন্ন স্থানকে সমানভাবে ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে এই অংশগ্রহণ একপক্ষে ৫৫ শতাংশ ও অপর পক্ষে ৪৫ শতাংশ হলেও আমাদের আপত্তি ছিল না। কিন্তু এই দুই ছবিতে যৌথ প্রযোজনার নামে ঘটেছে পুকুরচুরির মাধ্যমে যৌথ প্রতারণা। এসব কারণেই সেন্সর বোর্ডের প্রিভিউ কমিটি ছবি দুটি সেন্সরের বিষয়ে প্রথমে আপত্তি জানায়। পরবর্তীতে প্রিভিউ কমিটি উপর মহলের চাপের মুখে দুই ছবির ছাড়পত্র দিতে বাধ্য হয়। এ কারণে প্রিভিউ কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার সেন্সর বোর্ড থেকে পদত্যাগও করেছেন। মূলত তথ্যমন্ত্রী তাঁর ক্ষমতার অব্যবহার করে ছবি দুটি মুক্তি দিয়েছেন। তিনিসহ সেন্সর বোর্ডের বাকি সদস্যরা মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে আপত্তি ওঠা দুটি ছবির সবকিছু ঠিক আছে বলে ছাড়পত্র দিয়ে দিলেন। নন্দিত এই চলচ্চিত্র শিল্পী আরও বলেন, একা শাকিব খান আর চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি শুধু বলছে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে নীতিমালা ভঙ্গ হয়নি। আর যৌথ প্রযোজনার দুই ছবির এদেশের প্রযোজক সংস্থা জাজ মাল্টি মিডিয়া কেবল মুনাফা বোঝে। যৌথ প্রযোজনার ছবির নামে তারা যৌথ প্রতারণা করছে। তারা সঠিক নীতিমালা মেনে ছবি করলে আমরাও তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। এদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের প্রতি তাদের কোন ভালবাসা নেই। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি নওশাদ উদ্দীন ইফতেখারের হেনস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা এর নিন্দা জানাই। চলচ্চিত্র পরিবারের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এমনকি মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোন জবাব দেননি। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় তথ্য সচিব মরতুজা আহমদের সঙ্গে। ঈদে ছাড়পত্র প্রাপ্ত নবাব ও বস টু ছবি দুটি যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা ভঙ্গ করেছে কিনা, এ প্রসঙ্গে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, এই চলচ্চিত্র দুটির ছাড়পত্র দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। আর যৌথ প্রযোজনার ক্ষেত্রে নীতিমালা ভঙ্গ হয়েছে কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব প্রিভিউ কমিটির। সেই বিবেচনায় দুটি ছবি ছাড়পত্র পেয়েছে। এর বাইরে আমার আর কিছু বলার নেই। ঈদের তিন ছবির তথ্য আসন্ন ঈদ উৎসবে মুক্তি পাচ্ছে তিন চলচ্চিত্র রাজনীতি, নবাব ও বস টু। বাবুল বিশ্বাস পরিচালিত রাজনীতি ছবির প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, আনিসুর রহমান মিলন ও অপু বিশ্বাস। বস টু সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের জাজ মাল্টি মিডিয়া ও কলকাতার জিতস ফিল্মওয়ার্কস। কলকাতার পক্ষে পরিচালনায় রয়েছেন বাবা যাদব এবং ঢাকার পরিচালক হচ্ছেন জাজ মাল্টি মিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া, জিৎ ও শুভশ্রী। নবাব ছবির পরিচালনায় রয়েছেন কলকাতার জয়দ্বীপ মুখার্জি ও ঢাকার আবদুল আজিজ। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও শুভশ্রী।
×