ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২৫ জুন ২০১৭

জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকায় উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ঈদের আগের দিন রাত বারোটা থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। তুলে দেয়া হচ্ছে ঈদের একদিন আগেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের আশপাশের সব অস্থায়ী ও ভাসমান দোকানপাট। সব ধরনের হকারের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঈদের দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঈদগাহ ময়দানের আশপাশের রাস্তায় যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ডগস্কোয়াড দিয়ে পুরো এলাকা তল্লাশি চালাবে র‌্যাব। যেকোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে র‌্যাবের হেলিকপ্টার, বম্ব ডিসপোজাল টিম, ক্রাইসিস রেন্সপন্স টিমমহ অন্য সকল ইউনিট। শনিবার ডিএমপির কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়াসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা ঈদগাহ ময়দানসহ আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেকশনা দেন। ঈদগাহসহ পুরো ঢাকা সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজরীর আহমেদও। পুলিশ কমিশনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, ডিবির উর্ধতন কর্মকর্তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সূত্র ধরে জঙ্গী হামলাসহ নানা ইস্যুতে এবারের নিরাপত্তা থাকছে খুবই কঠোর। পুরো এলাকা গোয়েন্দা নজরদারি ও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সর্বক্ষণিক নজর রাখতে বসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কন্ট্রোলরুম। ময়দানের আশপাশের উঁচু ভবনগুলোর ছাদে ওয়াচ টাওয়ার বসানো হচ্ছে। সেখান থেকে শক্তিশালী বাইন্যুকুলার দিয়ে পুরো এলাকার উপর নজর রাখা হবে। ময়দানের প্রবেশ পথগুলোতে বসানো হচ্ছে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর। মুসল্লিদের মেটাল ডিটেক্টরের ভেতর দিয়ে দেহ তল্লাশির পর ময়দানে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে। ঈদের নামাজ শুরুর আগে পুরো এলাকায় তল্লাশি চালাবে পুলিশ ও র‌্যাবের বোমা নিস্ক্রিয়কারী একাধিক দল। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের প্রথম জামাতে অংশ নিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, বিচারপতি, কূটনৈতিক, উর্ধতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। পবিত্র ঈদের দিন ভোর ছয়টা থেকেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের আশপাশের রাস্তায় যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যানবাহনগুলোকে ময়দানের খুব কাছাকাছি রাস্তা পরিহার করে বিকল্প রাস্তায় চলতে বলা হয়েছে। এছাড়া যানবাহনগুলোকে নির্ধারিত জায়গায় পার্কিং করতে নির্দেশ জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। যানবাহন চলাচল * জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিকটবর্তী নির্ধারিত পার্কিংয়ে শুধুমাত্র ভিভিআইপি ও ভিআইপিগণের গাড়িসমূহ মৎস্য ভবন হয়ে প্রবেশ করবে। * অন্য ব্যক্তিদের গাড়ি এবং বাণিজ্যিক যানবাহনসমূহ সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল মোড়-প্রেসক্লাব লিংক রোড-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পেছনের গলি-সাবকন্ট্রোলরুম গ্যাপ-ইউবিএল ক্রসিং-দোয়েল চত্বর ক্রসিং-মৎস্য ভবন ক্রসিং এ স্থাপিত ব্যারিকেডের বাইরে পার্কিং ও চলাচল করবে। ভিআইপিসহ বিশিষ্টজনদের গাড়ি পার্কিং এলাকা * সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের আশপাশের নিম্নবর্ণিত স্থানসমূহ পার্কিং এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। * জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে সুপ্রীমকোর্টের অভ্যন্তরে গোল চত্বরের কাছে রাষ্ট্রপতির গাড়িবহর (ভিভিআইপি এ্যালাইটিংয়ের পশ্চিম পার্শ্ব)। * সুপ্রীমকোর্টের ভেতরে দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে (মাজার সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে) বিচারপতিগণের গাড়ি পার্কিং। * জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রধান গেটের উত্তর-পশ্চিম দিকে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিং। * গণপূর্ত ভবনের অঙ্গিনা ও অভ্যন্তরে সরকারী কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের গাড়ি পার্কিং। সাধারণ পার্কিং এলাকা * জিরো পয়েন্ট ও ইউবিএল ক্রসিংয়ের (মুক্তাঙ্গণ) উভয় পার্শ্ব, দোয়েল চত্বরের দক্ষিণ-পশ্চিম-উত্তর পার্শ্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল থেকে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্ব, মৎস্য ভবন ক্রসিংয়ের পূর্ব দিকে কার্পেট গলি রোড ক্রর্সিং পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্ব।
×