ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৫ জুন ২০১৭

আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বছর ঘুরে খুশির বারতা নিয়ে আবার এলো ঈদ। ঈদ-উল-ফিতর। মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় ঈদ আনন্দের উৎসব। কবি নজরুলের ভাষায়, শত যোজনের কত মরুভূমি পারায়ে গো/কত বালু চরে কত আঁখি-ধারা ঝরায়ে গো/বরষের পরে আসিল ঈদ। পথে পথে আজ হাঁকিব, বন্ধু/ঈদ-মোবারক! আসসালাম! ঠোঁটে ঠোঁটে আজ বিলাব শিরনী ফুল-কালাম! বিলিয়ে দেয়ার আজিকে ঈদ। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সারাদেশে বইছে খুশির জোয়ার। আজকে এক ফালি চাঁদ পূর্ণতা এনে দেবে দেশব্যাপী খুশির বারতায়। একদিনের জন্য ভুলিয়ে দেবে সকল দুঃখ-কষ্ট, ধনী-গরিব, ছোট-বড় সব ভেদাভেদ। আশরাফ আতরাফ চলে আসবে এক কাতারে। এদিনে সকল মানুষ হয়ে যাবে এক সমান। আর চাঁদ না দেখা গেলে খুশির ঈদের জন্য দেশবাসীকে আরও একদিন অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে ঈদ-উল-ফিতরের তারিখ নির্ধারণে আজ রবিবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে। যদিও বাংলাদেশ এ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে আজ শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আগামীকাল সোমবার ঈদ-উল-ফিতর উদ্যাপিত হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। ইসলাঈ চিন্তাবিদদের মতে, পূর্ণ একমাস সিয়াম-সাধনার পর ঈদ উৎসব মুসলিম জাতির প্রতি আল্লাহর অশেষ নিয়ামত ও পুরস্কার। মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সদস্যের আবেগ, অনুভূতি, ভালবাসা, মমতা ঈদের এ পবিত্র ও অনাবিল আনন্দ-উৎসবে একাকার হয়ে যায়। এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বাণীতে তারা ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর, সুখ, শান্তি, উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। এদিকে সারাদেশে এখন বইছে ঈদের হাওয়া। মাসব্যাপী সিয়াম-সাধনার পর মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈদ উদ্যাপনের। একমাস রোজাব্রত পালনের পর আগামীকাল সোমবার কিংবা মঙ্গলবার মুসলমানদের ঘরে হাজির হবে খুশির ঈদ। যথাযথভাবে ঈদ উদ্যাপনের জন্য ইতোমধ্যে যার যার সাধ্যমতো শেষ করেছে ঈদ কেনাকাটা। ঢাকাসহ সারা দেশে ঈদের জামাতের আয়োজনের পুরো প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়েছে রাজধানীবাসী। বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিমপ্রধান দেশে ঈদ-উল-ফিতর বৃহত্তম বার্ষিক উৎসব। তাই ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সারা রমজান মাস ধরেই চলেছে কেনাকাটা। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রোজা। নামাজের পর মুসলমানদের প্রতি যে ইবাদত ফরজ করা হয়েছে তাহলো মাহে রমজানের এই সিয়াম-সাধনা। আল্লাহতাআলা এ মাসে তার বান্দাদের ওপর বিশেষ দৃষ্টি প্রদান করে থাকেন। গুনাহ মাফ করে দেন। দোয়া কবুল করেন। এ জন্য ইসলামের অনুসারীদের জন্য এ মাস বিশেষ নিয়ামতের মাস হিসেবে গণ্য। কারণ, দীর্ঘ একমাস সিয়াম-সাধনার পরেই আসে কেবল এই খুশির ঈদ। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদ-উল-ফিতর উৎসব পালন করা হয়। ইসলামী বিধান অনুযায়ী ২৯ রমজানই শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখতে হবে। যদি ২৯ রমজানে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যায় তাহলে রমজান ৩০ দিন পূর্ণ করতে হবে। তবে কোনক্রমেই তা ৩০ দিনের বেশি হবে না। গত ২৮ মে শুরু হয় এবারের পবিত্র সিয়াম-সাধনা। হিসাব অনুযায়ী আগামীকাল ২৬ অথবা ২৭ জুন পালিত হবে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সংবাদপত্র অফিসও আজ থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নোয়াবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৭ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত সংবাদপত্র অফিস বন্ধ থাকবে। ফলে এ সময়ের মধ্যে কোন পত্রিকা বের হবে না। এদিকে আজ রবিবার থেকে সরকারী অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বাড়তি যোগ হয়েছে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে ঈদের দুইদিন বেশি ছুটি যোগ হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষজন। এতে ঈদে ঘরে ফেরাও অনেকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতির জন্য ঈদ জামাতের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় শুভেচ্ছা তোরণ তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতির সংগঠনের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার টানানোও শুরু হয়ে গেছে। চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের তারিখ নির্ধারণের জন্য আজ রবিবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা ১৫ টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা অন্য কোন উপায়ে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। টেলিফোন নম্বর: ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৯৬৪৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭। সোমবার ঈদের সম্ভাবনা এদিকে বাংলাদেশ এ্যাস্ট্রোনমিকেল সোসাইটি জানিয়েছে আজ রবিবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আজ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার উদ্যাপিত হবে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২৪ জুন শনিবার সকাল ৮টা ৩১ মিনিটে বর্তমান চাঁদের অমাবস্যা কলা পূর্ণ করে নতুন চাঁদের জন্ম হয়েছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে সূর্যাস্তের সময় দিগন্ত রেখা হতে ২ ডিগ্রী ওপরে অবস্থান করে, ১৩ মিনিট আকাশে থেকে সন্ধ্যা ৭টা ২ মিনিটে অস্ত যায়। সন্ধ্যায় চাঁদের কোন অংশ আলোকিত না থাকায় দেশের আকাশেও চাঁদ দেখার সম্ভাবনা ছিল না। এটি আজ রবিবার, সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে সূর্যাস্তের সময় দিগন্ত রেখা হতে ১৫ ডিগ্রী ওপরে অবস্থান করবে। প্রায় ১ ঘণ্টা ১৩ মিনিট দেশের আকাশে অবস্থান শেষে রাত ৮টা ২ মিনিটে অস্ত যাবে। এ সময় চাঁদের ৩% অংশ আলোকিত থাকবে। দেশের আকাশ মেঘমুক্ত ও পরিষ্কার থাকলে একে ভালভাবে দেখা যাবে। এই সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পর আকাশে উদিত চাঁদের বয়স হবে ৩৪ ঘণ্টা ১৮ মিনিট এবং সবচেয়ে ভালভাবে দেখা যাবে সন্ধ্যা ৭টা ২১ মিনিটে। ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী আজ সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদ্যাপিত হবে। ফিতরা এবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সর্বনিম্ন ফিতরা ৬৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, যে কেউ ইচ্ছা করলে সর্বনিম্ন এই হার থেকে সর্বোচ্চ হারে ফিতরা আদায় করতে পারবেন। ইসলামী শরিয়াহ মতে, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। ইসলামী বিধান অনুসারে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে মুসলমানদের জন্য ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। এটি এক ধরনের সাদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজার ভুলত্রুটি দূর করার জন্য আদায় করা হয় ফিতরা। নিয়ম অনুযায়ী, ঈদের নামাজের পূর্বেই ফিতরা আদায় করতে হয়। তবে ভুলক্রমে ঈদের নামাজ পড়া হয়ে গেলেও ফিতরা আদায় করা যায়। জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ইতোমধ্যে জাতীয় ঈদগাহের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে আটটায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল নয়টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিচারপতি ও বিদেশী কূটনীতিকরা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে মহিলাদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে প্রায় ১ লাখ লোক ঈদের নামাজ আদায় করবেন। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতের জন্য মুসল্লিদের অজু করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের পাশাপাশি ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে চারটি করে ঈদের জামাত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। তারা জানায়, রাজধানীতে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা জানায়, এবার ঢাকা দক্ষিণে জাতীয় ঈদগাহ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠসহ ২৩০টি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডের ১৮০টিসহ মোট ৪১০ স্থানে ঈদ জামাত হবে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদ জামাতের সময়সূচী অন্যবারের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের পাঁচটি জামাত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় মসজিদের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও শেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, দ্বিতীয় জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান, তৃতীয় জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাশেম, চতুর্থ জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির ধর্মীয় প্রশিক্ষক মাওলানা জাকির হোসেন এবং পঞ্চম ও শেষ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। উপরোক্ত ৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রব মিয়া আল বাগদাদী। আহলে হাদিস ঈদ জামাত পুরাতন ঢাকাসহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আহলে হাদিসের ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে বংশাল আহলে হাদিস বড় জামে মসজিদ কমিটির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে খুতবা প্রদান ও ইমামতি করবেন বংশাল আহলে হাদিস বড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শায়খ মোস্তফা বিন বাহাউদ্দিন কাশেমী। এই জামাতে রাজধানীর পুরাতন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩০ হাজার লোক সমাগম হবে বলে জানান বাংলাদেশ জমিয়তে আহলে হাসিদের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন। ঢাকায় ঈদের জামাতসমূহ মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের হারুন মোল্লা ঈদগাহ, পার্ক ও খেলার মাঠ সকাল সাড়ে ৭টা, মিয়া সাহেব ময়দান খানকা শরীফ জামে মসজিদে ৭টা ১৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পরীবাগ জামে মসজিদ সকাল ৮টায়, পুরাতন ঢাকার লক্ষ্মীবাজারস্থ নূরানী জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়, মীরবাড়ি আদি জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়, কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেট জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।
×