ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু কন্যাকে ধর্ষণে সহযোগিতার পর বিয়ে ॥ মা ও ধর্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২০:৫০, ২৪ জুন ২০১৭

শিশু কন্যাকে ধর্ষণে সহযোগিতার পর বিয়ে ॥ মা ও ধর্ষক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিজের এগার বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণে সহযোগিতার পর ধর্ষকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় শুক্রবার ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন তার স্বামী। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি গনেশ গোপাল বিশ্বাস জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে শিশুটির মা রওশন আক্তার (৩৬) ও ধর্ষণে অভিযুক্ত ইয়াসিনকে (২৯) র‌্যাব গ্রেফতার করেছেন। এদিকে শিশুটিকে উদ্ধারের পর তাকে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানায়, রাজধানীর একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর পড়ুয়া শিশুটির বাবা শাহ আলম পেশায় ব্যবসায়ী। মেয়েটি তাদের একমাত্র সন্তান। তারা তেজগাঁওয়ের শাহীনবাগে এলাকায় থাকেন। শেরে বাংলা নগর ওসি গনেশ বলেন, এই ঘটনায় শুক্রবার শেরেবাংলা নগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিশুটি বাবা মামলা করেছেন। থানায় দায়ের করা অভিযোগে থেকে জানা যায়, ১৮ জুন বিকালে শাহ আলম বাসায় ফিরে দেখেন ঈদের কেনাকাটা করার কথা বলে তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন। কিন্তু তারা বাসায় না ফেরায় ও স্ত্রীর মোবাইল ফোন বন্ধ পান। তিনি পরেরদিন তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। পরে কুমিল্লায় শ্বশুরকে ফোন করে স্ত্রী এবং কন্যা মুন্সীগঞ্জ অবস্থানের কথা জানেন। পরে তিনি র‌্যাবের সাহায্য চান। পরে র‌্যাব বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গজারিয়ার বাউশিয়ায় ইয়াসিনের কথিত নানা বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। ইয়াসিন ও রওশন গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের এসময় ওই বাসা থেকে কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিম স্কুল পড়ুয়া শিশুটি র‌্যাব ও তার বাবা শাহ আলমকে জানায়, গত ১৮ জুন তাকে নিয়ে তার মা ফার্মগেট এলাকায় যায়। সেখানে কয়েকজন মিলে তাকে জোরপূর্বক প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। গাড়িতেই তার হাতে একটি আংটি পরিয়ে দেয়। শিশুটি র‌্যাবকে জানায়, পরে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে একটি বাড়িতে উঠে। সেখানে নিয়ে ইয়াসিন তাকে ধর্ষণ করে। ২১ জুন মুন্সিগঞ্জ নিয়ে স্থানীয় আলম চান (৫২) ও আনোয়ারা বেগমসহ (৪৭) স্থানীয় মেম্বার, মৌলভী মিলে ইয়াসিনের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। তার মায়ের নির্দেশ এটি করা হয়। শিশুটির স্বজনরা জানান, ইয়াসিনের সাথে রওশন আক্তারের ‘অবৈধ সম্পর্ক’ ছিল। সেটা টিকিয়ে রাখতে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ইয়াসিনকে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
×