ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত

প্রকাশিত: ০০:৩১, ২৩ জুন ২০১৭

পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দেশ ও মুসলিম ভ্রাতৃত্বের সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনার মধ্য দিয়ে শুক্রবার পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত হয়েছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেকদর পালন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানের শেষ জুমা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে খুবই গুরুত্ব ও মর্যাদাপূর্ণ। রমজানের শেষ জুমা হওয়ায় শুক্রবারকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। একই সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২৭ রমজানের পূর্বরাত হওয়ায় শবেকদরও পালিত হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে শবেকদর একটি মহিমান্বিত রাত। হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এ রাত। এই সেই রাত, যে রাতে পবিত্র কোরআনের পূর্ণ একটি সূরা ‘আল-কদর’ অবতীর্ণ হয়। এসব গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রত্যেক মুসলমান আল্লাহ পাকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা ও পুণ্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার ও দান-খয়রাতের মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করেন। জুমাতুল বিদা উপলক্ষে বিশেষ মহিমাময় এ নামাজে অংশ নিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে আজানের বহু আগে থেকেই জড়ো হতে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণ আজানের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে শোনেন খুতবা, আদায় করেন সালাত। জুমাতুল বিদায় বায়তুল মোকাররমে প্রায় ১ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। বরাবরের মতো এবারও লাখো মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। স্থান সংকুলন না হওয়ায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সামনে ও উত্তর গেটসংলগ্ন রাস্তায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সব মসজিদে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। মসজিদ ছাড়িয়ে আশপাশের রাস্তায় কাতারবন্দি হয়ে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। পবিত্র জুমাতুল বিদা মসজিদে মসজিদে দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোনাজাত করেন মুসল্লিরা। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলমানদের রক্ষা ও বায়তুল মোকাদ্দাস উদ্ধারে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাহায্য কামনা করা হয়। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দু’হাত খুলে দান-খয়রাতও করেন।
×