ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাজেটে অসঙ্গতির কারণে নিম্নমানের গাড়ি আমদানি হবে

প্রকাশিত: ০৩:১৯, ২২ জুন ২০১৭

বাজেটে অসঙ্গতির কারণে নিম্নমানের গাড়ি আমদানি হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত বাজেটে গাড়ি আমদানিতে অবচয় হারের অসঙ্গতি দূর করার দাবি জানানো হয়েছে। গাড়ি আমদানিকারক মালিকদের সংগঠন বারভিডার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে-বাজেটে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এমন একটি কোম্পানি ও দেশকে টার্গেট করে নতুন গাড়ি আমদানিকারকদের সুবিধা দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক হার ও অবচয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিবান্ধব হয়নি বলে মনে করছে বারভিডা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আকরাম টাউওয়ার বারভিডা কার্যালয়ে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পরিবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। বারভিডার প্রেসিডেন্ট হাবিব উল্লাহ ডনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান। হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, বাজেটের অসঙ্গতির কারণে নিম্নমানের গাড়ি আমদানির পথ প্রশস্ত করবে। জাপানে অভ্যন্তরীণ গাড়ি ব্যবহারের জন্য ১৬০০ সিসির কোন গাড়ি তৈরি করা হয় না। তবে থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় এ ধরনের কিছু গাড়ি তৈরি করা হয়। এসবের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। বাজেটে ১৬০০ সিসি পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে। বারভিডা মনে করছে, অবচয় হার প্রদানের অসঙ্গতির কারণে মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত সব শ্রেণীর গাড়িতে ৯০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়বে। রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাবে। এর ফলে নিম্নমানের বিদেশী নতুন গাড়ি আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ সমস্যা রোধে অবচয় হারের অসঙ্গতি দূর করা গাড়ির সিসি (সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি) হার ১৬শ’ স্থলে ১৫শ’ করার প্রস্তাবও পুরনো গাড়ি আমদানিকারকদের এই সংগঠনটির। বাজেটে প্রস্তাব অনুযায়ী এক বছর পর্যন্ত পুরনো বা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে অবচয় প্রযোজ্য নয়। এক বছরের অধিক এবং দুই বছর পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, এর উপরে তিন বছর পর্যন্ত ২৫ শতাংশ, চার বছর পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ, পাঁচ বছর পর্যন্ত ৪০ শতাংশ অবচয় প্রদানের কথা বলা হয়েছে। তবে গাড়ির চেসিস তৈরির সাল ছাড়া এক বছর পর্যন্ত ১৫ শতাংশ অবচয় দেয়ার দাবি বারভিডার। এক বছরের বেশি এবং দুই বছর পর্যন্ত ২৫ শতাংশ, এর উপরে তিন বছর পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ, এর উপরে চার বছর পর্যন্ত ৪০ শতাংশ এবং এর উপরে পাঁচ বছর পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ অবচয় দেওয়ার দাবি তাদের। হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, প্রস্তাবিত অবচয় হারের মাধ্যমে অবচয়ের মূল উদ্দেশ্যকে পদদলিত করা হয়েছে। কোন বিশেষ মহলের স্বার্থ রক্ষায় দুরভিসন্ধিমূলক অবচয় হারের প্রস্তাব করা হয়েছে। বৈষম্যমূলক এ প্রস্তাবের কারণে মূলত তুলনামূলক নিম্নমানের নতুন গাড়ি আমদানির পথ প্রশস্ত করা হয়েছে। সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের রাজস্ব আদায় তথা অর্থনীতিতে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বিশাল ভূমিকা রাখছে। ভুল নীতির কারণে এ ধরনের গাড়ি আমদানি কমলে তা অর্থনীতির জন্য শুভ হবে না।
×