ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিড়ম্বনা আর কতকাল;###;সৈয়দ রশিদ আলম

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ ঈদে ঘরে ফেরার ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২২ জুন ২০১৭

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ ঈদে ঘরে ফেরার ভোগান্তি

ঈদের আনন্দে ঢাকা থেকে যারা প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে ছুটে যান, তারাই জানেন তাদের কতটা বিড়ম্বনা, যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। সব পত্রিকায় বিষয়টি চলে আসে। কিন্তু দৈনিক জনকণ্ঠের নিয়মিত পাঠকরা যখন বিশেষ বিশেষ বিষয় নিয়ে লেখার সুযোগ পান, তখন তাদের কাছ থেকে বাস্তব চিত্রটা ফুটে উঠে। গাবতলী বাসটার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাসটার্মিনাল, কমলাপুর রেলস্টেশন ও সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল পরিদর্শন করে যে দুঃখজনক চিত্র দেখেছি, তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউই উপলব্ধি করতে পারবেন না। ঢাকা থেকে যদি আপনি উত্তরবঙ্গে, দক্ষিণবঙ্গে বাসে যেতে চান ঈদ করতে, বাস কাউন্টারে গিয়ে শুনবেন টিকেট নেই। কমলাপুর রেলস্টেশন গিয়ে যদি কোন জায়গার টিকেট চান উত্তর পাবেন সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। সদরঘাট নৌ-টার্মিনালে গিয়ে দেখবেন প্রতিটি জায়গায়, এমনকি ছাদের উপর পর্যন্ত লোক ঠাসা। কেবিনের টিকেট খোঁজেন, হয়ত পাবেন কিন্তু দ্বিগুণ দাম দিতে হবে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরাই সাধারণত ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে ছুটে যান। কিন্তু টিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের যে বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তার যেন কোনো সমাধান নেই। সেই সঙ্গে ছয় ঘণ্টার পথ আপনি আঠারো ঘণ্টায় পৌঁছাতে পারবেন তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ-স্টিমার যেভাবে যাত্রা শুরু করে তা ১০০ ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু তারপরও প্রিয়জনের কাছে ছুটে যাওয়া আমাদের সাংস্কৃতির একটি অংশ। আপনজনকে নিয়ে যে কোন উৎসব অনেক বেশি আনন্দময় হয়ে উঠে। সরকারী পরিবহন বিআরটিসি যদি সচল থাকত তাহলে পরিবহন মালিকরা যে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন তা থেকে যাত্রীরা ঈদের সময় রেহাই পেতেন। তাদের ঈদ আনন্দময় হয়ে উঠত। কিন্তু, সেটা সত্যি আর হয়ে উঠেন প্রায়। দৈনিক পত্রিকায় পাতা উল্টালেই ঈদ যাত্রার যন্ত্রণার কথা দেখতে পাওয়া যায়। অনেক অসুস্থ রোগী অনেকই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন যানজটের কারণে। সেই সঙ্গে বর্ষাকাল হওয়াতে এবার ঈদের যাত্রা আরও বেশি কষ্টকর হয়ে উঠবে। মিরপুর, ঢাকা থেকে
×