ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২০ জুন ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

প্রথম দিন থেকেই আষাঢ় তার জাত চেনাচ্ছে ঢাকায়। বৃষ্টি উপভোগ্য সন্দেহ নেই, কিন্তু এ মহানগরীতে তা দুর্যোগ ও ভোগান্তির আরেক নাম। জলাবদ্ধতা এখনও এ শহরের বড় সমস্যা। বড় বড় রাস্তার দুইপাশে পানি জমে ওঠায় প্রশস্ত সড়কগুলো সরু হয়ে উঠছে। ফলে চলার গতিতেও সাময়িক যতি পড়ছে। ঢাকাবাসীর বড় অংশ এই সপ্তাহ থেকেই ঢাকা ত্যাগ শুরু করবেন ঈদ উপলক্ষে। শেকড়ের টানে বাড়ির পানে ছোটার আনন্দ তুলনাহীন। কিন্তু মানুষের মনে দুর্ভাবনা। বিশেষ করে বর্ষার ভেতর ঈদ আসায় সেই দুর্ভাবনা আরও বাড়ছে। সড়কের বেহাল অবস্থার কথা বহুল উচ্চারিত। তার ওপর একইসঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষের ঢাকা ত্যাগের তৎপরতায় যানজট কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে, সেটি বলা মুশকিল। তবে তার কিছু আগাম আলামত ইতোমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। ঈদযাত্রামুখী মানুষের একটাই চিন্তাÑ পথের ভোগান্তি শেষে প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে যাওয়া। আনন্দ ভাগাভাগির ঈদ শিশু-কিশোর বয়সে ঈদের যে আনন্দ তার সঙ্গে আর কিসেরই বা তুলনা হতে পারে? ব্যক্তির যত বয়স বাড়ে, সেই আনন্দের তাগিদ ও উপভোগ ফিকে হতে থাকে। তখন আবার শিশু-কিশোরদের আনন্দ দেখেই ভিন্নতর এক খুশি ছলকে ওঠে হৃদয়ে। ছেলেবেলায় নতুন জামা-জুতা পরে আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি ঘুরে বেড়ানো আর নানা পদের লোভনীয় সব খাবার খাওয়ার মধ্যে যে মজা থাকে, তা চিরকালীন স্মৃতির সঞ্চয়। বাবা-মা রোজা রাখতে দিতে চান না, তবু কান্নাকাটি করে একটা-দুটো রোজা রাখা, পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে ঈদের দিন বাবা কিংবা বাড়ির মুরুব্বিদের সঙ্গে ঈদগাহে যাওয়া বালক কিংবা কিশোরের মনে এক অনির্বচনীয় আনন্দ এনে দেয়। বলাবাহুল্য, বালিকা-কিশোরীদের মনেও সেই আনন্দের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে। একটু যারা বেশি সংবেদনশীল, তারা অনুভব করে এ মহাউৎসবে কোন কোন বন্ধু কিংবা সহপাঠীর অনুপস্থিতি। আবার পূজার উৎসবে বা বড়দিনের ব্যতিক্রমী আনন্দ আয়োজনে যোগ দেয়ার সুযোগ মিললে ভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়ে সমাজের বিচিত্র উৎসব ও বিবিধ সংস্কৃতির অন্তর্গত সারসত্যটুকু জেনে ওঠা যায়। শিশু-কিশোররাই কি কেবল ঈদের আনন্দে মশগুল হয়? ঠিক তা নয়, ঈদে সব বয়সীরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আনন্দ আহরণ। গিন্নিরা ফিরনি-পায়েস আর পোলাও-কোর্মা ইত্যাদি উপাদেয় খাবার রান্না করে সুখ পান। এখনও এই কাজ তাদের একচ্ছত্র অধিকার বলে গণ্য করেন। বাড়ির আর দশটা নেমন্ত্রণের সঙ্গে ঈদের রাঁধাবাড়া আর খাওয়ানোর তৃপ্তিকর আনন্দ সমতুল্য হতে পারে না। সময় বদলালেও এখনও অনেক মা, এমনকি বড় বোনেরাও পরিবারের সদস্যদের জন্য নিজ হাতে পোশাক তৈরি করেন। প্রতিটি সেলাইয়ের ফোঁড়ে যেমন থাকে মমতা আর ভালবাসা, তেমনি প্রতিটি বুননে প্রাপ্তি ঘটে চলে অসাধারণ এক সুখ। ঈদের বহু আগে থেকেই এই সুখের সূচনা; এও ঈদেরই আনন্দ। এতক্ষণ যা বললাম, তাকে সাবেক আমলের ঈদের বৈশিষ্ট্য বলে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইবেন আজকের শহুরে মধ্যবিত্ত তরুণ কিংবা তরুণী। কারণ তারা অভাগা; বৃহৎ পরিবারের বহুধাবিভক্ত এক ক্ষুদ্রাংশের বাসিন্দা, স্কয়ার ফিট মাপের ফ্ল্যাটের বিচ্ছিন্ন কক্ষে যার পৃথিবী পুরে রাখা। তার কাছে ঈদ কিছুটা বোরিং, কিছুটা ফাঁকা ঢাকায় হৈহল্লার সুবর্ণ সুযোগ। ঈদের পোশাক হিসেবে পাঞ্জাবি তার তেমন পছন্দের নয়, তবু দু-চারটে গড়াগড়ি খায় ওয়ার্ড্রােবে। নিতান্ত অনিচ্ছায় তার একটি বেছে নেয়া। যদিও তারও আছে কিছুটা নিকট অতীতের ঈদ-স্মৃতি। ঢাকার বাইরে ‘গরিব-গুর্বো’ শেকড়ে ফেরার অনিবার্যতা এবং সেইসঙ্গে এই হৃদয়হীন শহরে অভিভাবকের কোন স্বজন বা বন্ধুর বাসায় কিছুটা স্বতঃস্ফূর্ত কিছুটা আরোপিত আনন্দ সন্ধানের অভিজ্ঞতা। এই বাস্তবতাকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না, তবে এটি আমাদের সমর্থনও পায় না। তারপরও বলব, প্রায় প্রতিটি মুসলিম পরিবারেই এমন একজন অন্তত ব্যক্তি থাকেন যিনি রমজান মাসের প্রতিটি রোজা পালন করেন, তারাবি পড়েন। এই যে একমাসের নামাজ রোজা পালন শেষে ঈদের দিনটি আসে, সে দিনটি ওই ব্যক্তির জন্য এক অসামান্য ভাললাগা বয়ে আনে। তার আনন্দের প্রকৃতি ও ধরন নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী। ঈদের দিন সকালে ঈদগাহে নামাজ পড়ে আসার পর সারাটা দিন হয়ত তিনি গৃহেই থাকেন, কোন আনন্দস্থলে যোগ দিতে যান না, কিংবা আনন্দের সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন না। তবু ঈদের দিন তার হৃদয় গভীরে যে আনন্দের সুর অনুরণিত হয়, তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আমার আব্বার কথাই বলি, আমাদের বহুজনের আব্বাও এমনই, নব্বুই ছুঁইছুঁই বয়সেও একটি রোজাও কামাই করেন না তারা। আব্বা শেষ দশ রোজায় মসজিদে অবস্থান করে মৌনব্রত পালনও (এত্বেকাফ) করতেন একসময়। দশ গ্রামের এক সম্মানিত ধর্মভীরু“ও ধর্ম-অভিভাবকের সন্তান হিসেবে আব্বা যতটা পেরেছেন ধর্মকর্মে নিয়োজিত থেকেছেন। তাঁর ঈদের দিনের খুশির সঙ্গে আমাদের ভাইবোনের ঈদ-আনন্দের কি তুলনা দেয়া সাজে? মানি বা না মানি, ইন্টারনেটের ব্যাপকতা, সেলুলার ফোনের দাপট এবং আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনের আগের ও পরের ঈদের ভেতর এক বিপুল ব্যবধান রচিত হয়ে গেছে। সশরীরে নিকটাত্মীয়ের বাড়ি উপস্থিতির বদল ভার্চুয়াল দেখাসাক্ষাৎ কি ‘কোলাকুলি’ সেরে নেয়ার সুবিধা জনপ্রিয় হচ্ছে। ম্যাসেঞ্জারের ঝলসে ওঠা ইমেজ কিংবা ফোনের গ্রপ টেক্সট হটিয়ে দিয়েছে রঙিন ঈদকার্ড পাওয়ার সূক্ষ্ম সুখ। চ্যানেলগুলো সাত দিন- দশ দিনের আনন্দ-পসরা সাজিয়ে বসছে। ঈদের অবকাশ যাপন অলিখিতভাবে দীর্ঘই ছিল, চলতি বছর থেকে তা সরকারী অনুমোদন পাচ্ছে। এ থেকে বিনোদন উৎপাদকেরা আরও উৎসাহিত হবে ধারণা করা যায়। নিজেকে গৃহবন্দী করে, অর্থাৎ কিছুটা সমাজবিচ্ছিন্ন অবস্থানে রেখে, উপভোগ-সর্বস্বতায় মজে ঈদ নামের আশ্চর্য সামাজিক, সাম্যবাদী ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল পরম সুযোগটি মানবিক বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে। এই হারানোর ক্ষতি নিয়ে মোটেই ভাবিত নয় অধিকাংশ নাগরিক শিক্ষিত মন। এক আত্মঘাতী আত্মপরতা ও উদাসীনতার জালে জড়িয়ে ভোজনসুখ, পোশাকের ঝলক, আর বিনোদনের গ্রাহক হিসেবে মানবসত্তার সকরুণ পরিবর্তনে নিশ্চয়ই তবু কোথাও বিবেকবোধ জেগে উঠছে। ঈদে শত বিড়ম্বনা ও ভোগান্তি সহ্য করে রাজধানী থেকে কোটি মানুষ তার শেকড়ের কাছে ফেরেন। দেশের বাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার মধ্যে যে স্বস্তি ও শান্তি, তার ছিঁটেফোঁটাও কি থাকে মহানগরীর ফ্ল্যাটে বন্দী বিচ্ছিন্ন ঈদ উদযাপনে? আপনি নিকটজনের সান্নিধ্যে মহানন্দে ঈদ করছেন। অথচ অনেকেরই ঢাকা ছেড়ে যাওয়া হয়নি নানা কারণে। তার ঈদ নিরানন্দে-মেশা; এমন বন্ধু কিংবা পরিচিতজনের কাছে আপনার একটি টেলিফোনই হয়ে উঠতে পারে মহা খুশির ব্যাপার। আমার পরিবারের সবার জন্য নতুন পোশাক হয়েছে। খুব কাছেরই কোন বস্তিতে ঈদ এসেছে বছরের বাকি ৩৬৪ দিনের মতোই। হঠাৎ আপনি কয়েকটা নতুন পোশাক নিয়ে গেলেন সেখানে। অচেনা বালক কিংবা মধ্যবয়সী কোন নারীর হাতে তুলে দিলেন তার কাছাকাছি মাপের কোন পোশাক। কেমন হবে? দেখুন ট্রাই করে তাদের আনন্দ আর হাসি দেখে আপনার নিশ্চয়ই মনে হবে, অপরকে সুখ দিতে পারলে এক ধরনের তৃপ্তি আর সুখ নিজের মনে এসেও ধরা দেয়। হাসপাতালে দুস্থদের ওয়ার্ডে যান দোকান থেকে দু’তিন পদের কেনা খাবার নিয়ে। কুড়িজনের জন্যই নিন খাবারটা। ঈদের দিন অনেক রোগীরই কাটে স্বজনদের মুখ দেখার আশায়। অথচ তার সেই আশা পূরণ হয় না। না, আমি কোন মানবিক গল্প ফাঁদার চেষ্টা করছি না। বিশ্বাস না হয়, একবার গিয়েই দেখুন হাসপাতালে। দু’হাতে কয়েকটা খাবারের প্যাকেট নিয়ে। ঈদের দিন আপনার এই ‘বেড়ানোটি’ কিছুটা অস্বস্তিকর ও বেহুদা মনে হলেও আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে যদি কাজটি আপনি করেন তাহলে আপনার অন্য ধরনের একটি অভিজ্ঞতা হবেÑ সেটা জোর দিয়েই বলতে পারি। মানুষ মানুষের জন্য। ঈদের আনন্দ যদি কিছুটা বাড়িয়ে নেয়া যায় অন্যকে আনন্দ দিয়ে তাহলে সেটা তো আপনি করতেই পারেন। ঈদুল ফিতরে আমাদের ‘জাতীয় সঙ্গীত’ হয়ে উঠেছে জাতীয় কবির গানÑ ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। অধিকাংশ গানের মতোই এটি আমরা গাই, খুশির ঈদ এসেছে এই ভেবে আপ্লুত থাকি। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখি না এই গানের ভেতরেই ঈদের মর্মবাণী কী তাৎপর্যপূর্ণভাবেই না আমাদের জন্য কবি লিখে গেছেন। খুব ছোট্ট দুটি অংশ উদ্ধৃত করছি: তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে , শোন আসমানী তাগিদ।... আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমন, হাত মেলাও হাতে... শত্রু মিত্র ভেদাভেদ ভুলে সবার সঙ্গে মিলে মহান হয়ে ওঠার, বলা ভাল মানুষ হয়ে ওঠার বড় সুযোগ সামনে এনে দেয় ঈদ। অথচ আমরা এদিকটিতে কী সহজে উপেক্ষা করে যাই। নিজেকে বিলিয়ে দেবার গভীর আনন্দ-আহ্বান এড়িয়ে যাই। যদি তা না যেতাম, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই ঈদের দিনটিকে পরমানন্দের দিবস করে তুলতে পারতাম। এবারের ঈদে কি আমরা এদিকটি বিবেচনা করে দেখব? আগাম ঈদ মোবারক। ঈদের ছুটিতে নিরাপদে থাকুন। মুখে মুখে চিকুনগুনিয়া চিকুনগুনিয়া। ভয়ে ভয়ে থাকি, কখন না আক্রান্ত হই। আবার ভাবি বহু পরিবার তো এখনও সহিসালামতে আছে। আমরাও বেঁচে যাব। না, এটি বড় স্বার্থপর চিন্তা। আমরা সবাই মিলে তো বাঁচতে পারছি না। বাপ-বেটা মিলে ডেঙ্গু হয়ে গেছে একাধিকবার। তাই আরও বেশি ভয়। শনিবার সকালে বেরুতেই দেখি উত্তরায় বাংলাদেশ মেডিক্যালের সামনে তরুণ শিক্ষার্থীদের ভিড়। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তারা চলেছে, সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের লোক, যার হাতে ভারি স্প্রে মেশিন। কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা সেলফি তুলছেন, দলবদ্ধ পথ চলার ছবি তুলে রাখছেন। বেশ একটা উৎসব উৎসব ব্যাপার। এদিন রাজধানীতে চিকুনগুনিয়া রোগ নির্মূলে মশা নিধন অভিযানে নেমেছে ১০ হাজার মেডিক্যাল শিক্ষার্থী। রাজধানীর সরকারী-বেসরকারী সব মেডিক্যাল, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, সব ধরনের প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট ও এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ম্যাটস্) ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চিকুনগুনিয়া রোগ নির্মূলে মহানগরীতে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো ধ্বংস ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সাঁড়াশি অভিযান চালাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। আইইডিসিআর ও দুই সিটি কর্পোরেশন এই কর্মসূচীতে সহায়তা করছে। এই উদ্যোগ কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেও এ ধরনের কর্মসূচী নিতে এত দেরি কেন হলোÑ সেটি বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। রাজধানীতে মশার উপদ্রব কমবেশি বছরভরই থাকে, তবে সম্প্রতি মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়া বিস্তার লাভ করায় মশক নিধনের বিষয়টি জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। ওই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া উভয় রোগের বাহকই এডিস মশা। ঢাকার মশা নিধনের দায়িত্ব মশক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের। কিন্তু এই দফতরের ব্যর্থতার পর এ কাজ এখন চলছে যৌথভাবে। অধিদফতরের মোট জনবলের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু জনবল যুক্ত করে যৌথভাবেই নগরীর মশা নিধনের কর্মসূচী পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না। কোনভাবেই মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাজেটের দিকে নজর দিলে মনে হবে মশা মারার জন্য কামান দাগার প্রস্তুতি রয়েছে কর্তৃপক্ষের। গত ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে মশা নিধন খাতে বরাদ্দ ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। চলতি বছর (২০১৬-২০১৭) তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। একই অর্থবছরে উত্তর সিটি কর্পোরেশন ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা থেকে বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। একদিকে বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে, অপরদিকে পাল্লা দিয়ে ভয়ঙ্কর মশাও বেড়ে চলেছে। ১৮ জুন ২০১৬ [email protected]
×