ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে পুরান ঢাকায় তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২০ জুন ২০১৭

 ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে পুরান ঢাকায় তিনজনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুরান ঢাকার ইসলামবাগে বৃষ্টির মধ্যে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ঘরের চালে পড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হচ্ছেন- আমেনা বেগম (৫৫), তার পুত্রবধূ শিরিন আক্তার (৩০) ও শিরিনের শিশু সন্তান আফরিন (৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ার সময় চকবাজার থানাধীন পশ্চিম ইসলামবাগে রাস্তার পাশের ট্রান্সফরমার বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় রাস্তার বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ের দোতালার একটি টিনশেড ঘরের চালের ওপর পড়ে। এতে ওই টিনশেড বাড়ির পুরো ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। এ সময় ওই ঘরে থাকা বাড়ির মালিক মোঃ বাচ্চু তার স্ত্রী আমেনা বেগম, পুত্রবধূ শিরিন এবং নাতনি কুলসুম ও আফরিন বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আমেনা বেগম, শিরিন আক্তার ও শিশু আফরিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে হাসপাতালে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ জহির জানান, তখন সকাল সাড়ে ১০টায়। বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি। এ সময় ওই দোতালা টিনশেড ঘরের সামনে ট্রান্সফরমার বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণ ঘটে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ওই টিনের বাড়ির চালের উপর পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিচতলার দোকান থেকে কয়েকজন লাফিয়ে রাস্তায় নেমে যায়। তা না হলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ত। চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টির সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে টিনশেড ঘরটির উপর পড়ে। এতে ওই বাড়ির পাঁচজনই গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আহত মোঃ বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, পশ্চিম ইসলামবাগের দোতলা টিনশেড ঘরটি তার নিজস্ব সম্পত্তি। ওই বাড়ির নিচতলায় চা পান সিগারেটের দোকান রয়েছে। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির সামনে ট্রান্সফরমার হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রাস্তার মেন বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে টিনশেড ঘরের ওপর পড়ে। এতে পুরো ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। বাচ্চু মিয়া জানান, এ সময় ঘরে আমি, মা আমেনা, স্ত্রী শিরিন, দুই কন্যা সন্তান কুলসুম ও আফরিন ছিলাম। পরে দোতালার টিনশেড রুম থেকে সিঁড়ি দিয়ে আমরা তড়িঘড়ি করে নিচে নামার চেষ্টা করি। এ সময় আমরা পাঁচজনই বিদ্যুতস্পৃষ্ট হই। পরে হাসপাতালে আনলে মা আমেনা, স্ত্রী শিরিন ও শিশু আফরিনের মৃত্যু হয়। ছোট মেয়ে কুসসুম ও আমি আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, সকাল থেকে রাজধানীতে ভারি বর্ষণ মধ্যে চকবাজারের ইসলামের নিজ বাড়ির টিনশেড রুমে তারা বিদ্যুতস্পৃষ্ট হন। পরে হাসপাতালে আনলে তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে পরিবারের অনুমতিতে বিনা ময়নাতদন্ত ছাড়াই বিকেল ৪টার দিকে তিনজনের লাশ হস্তান্তর করা হয়। পরে পশ্চিম ইসলামবাগের জামে মসজিদে জানাযা শেষে সন্ধ্যার দিকে তাদের লাশ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
×