অনলাইন ডেস্ক ॥ চাঁপাইনবাগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ছুট আইড়ামারি গ্রামের কয়েশ আলীর ছেলে জীবন ওরফে বাবু (২০), কালিগঞ্জ রহিম মৌলভীর টোলার বেলালের ছেলে মো. কেতাব (৩৫), ফকির মহাম্মদ ক্যাপড়া টোলার মো. নুরুল ইসলাম ডাক্তার (৩০) মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), ও জেনারুল ডাক্তার (৩৫)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আঞ্জুমান আরা মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানান, বাখর আলী বিশ্বনাথপুর গ্রামের মো. ফজলুর ছেলে রোজবুলের সঙ্গে শিবগঞ্জ উপজেলার সাতরশিয়া গ্রামের আইনাল হকের মেয়ে গৃহবধু মুনিরা বেগমের (২২) বিয়ে হয়। তার স্বামী জেলার বাইরে কর্মস্থলে থাকার সুযোগে আসামি জীবন বাবু মনিরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
এর জের ধরে ঘটনার দিন ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আসামি জীবন বাবু স্বামীর বাড়ি থেকে মনিরাকে ডেকে নিয়ে একই এলাকার ছুট আইড়ামারি গ্রামের একটি ভুট্টা খেতে নিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর আসামিরা মুনিরাকে হত্যা করে মরদেহ ঘটনাস্থলেই ফেলে রেখে যায়। পরদিন ২১ এপ্রিল ঘটনাস্থল থেকে মুনিরার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় পরদিন ২২ এপ্রিল মুনিরা বেগমের মা সুলেখা বেগম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, শিবগঞ্জ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (৩) ধারায় ১১ আসামির মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ৬ জনকে খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- একই এলাকার মো. আজিজুল হক, মো. আতাউর রহমান, মো. আকবর আলী, ওবায়দুল ওরফে এবাদুল, মো. আজম আলী, মো. মুকুল।
