ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুমন্ত গুপ্ত

তারুণ্যের ভ্রমণ...

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১৬ জুন ২০১৭

তারুণ্যের ভ্রমণ...

সময়টা ১৯৯৩ বয়সে তরুণ দেশের জন্য কিছু করার সব সময়ই মনে চাইত। কিন্তু কি করা? আবার কোন কিছু করতে গেলেই সবাই বলেন, এটা হবে ওটা হবে না। তবে তিনি ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সঙ্গে ছিলেন ছোটবেলার চার বন্ধু। শেষ পর্যন্ত ঠিক করলেন আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে থাকা স্রষ্টার নিদর্শনকে খুঁজে বের করে মানুষের সামনে তুলে ধরবেন। বন্ধুরা নিশ্চয়ই ভাবছেন এতক্ষণ আমি কার কথা বলছি। আমি বলছি মো. জাভেদ হাকিমের কথা, তাঁর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান দে ছুট ভ্রমণ সংঘ আজ হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে চব্বিশটা বছর পাড়ি দিয়ে পঁচিশে পা দিয়েছে। দীর্ঘ দিনের পথ চলায় আজ দে ছুট ভ্রমণ সংঘ বাংলাদেশের অন্যতম একটি ভ্রমণ সংগঠন। দে ছুট ভ্রমণ সংঘ একটি সু-শৃঙ্খল স্বেচ্ছাসেবক ভ্রমণ সংগঠন। যার অর্থায়ন নিজেদের মধ্য থেকেই সংগ্রহীত। দে ছুট ভ্রমণ সংঘের বন্ধুরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের পাশাপাশি দুস্থদের ত্রাণ দেয়াসহ নানা রকম সমাজ সেবামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে থাকে। লক্ষণীয় যে এখনকার তরুণ প্রজন্মের প্রায় সবাই চায় সেবামূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে। দেশের জন্য কিছু করতে। এখন বলি দে ছুট ভ্রমণ সংঘের সফল রূপ দাতা জাভেদ হাকিম কথা। জাভেদ হাকিম দীর্ঘদিন ধরে জড়িত আছেন ভ্রমণ সাহিত্যের সঙ্গে। ভ্রমণ থেকেই হয় ভ্রমণ কাহিনী। কিন্তু ভ্রমণকারীদের সকলের হাত দিয়ে নয়। অন্নদা শঙ্করের এই কথা টেনে বলা যায় ভ্রমণসাহিত্য সবাই হাজির করতে পারে না। সাহিত্য যেমন নানা অর্থ প্রকাশক ভ্রমণ রচনাও নানা ধাঁচের। যে-ভ্রমণ রচনা আকর্ষণীয় পাঠযোগ্যতায়, জীবন পর্যবেক্ষণে, প্রকৃতি অবলোকনে, এবং বারংবার পড়ার কৌতূহল জাগিয়ে তোলে, সেটিকেই বলা চলে ভ্রমণ-সাহিত্য। বেড়ানোর প্রসঙ্গে কথা হলেই চলবে না, সাহিত্যের স্বাদ চাই, তবেই আসে বেড়ানোর মতো, সাহিত্য পাঠে হাওয়া বদলের স্বাদ। সেইদিক বিচারে আজকের প্রজন্মের মাঝে জাভেদ হাকিম বেশ জনপ্রিয়। চার বন্ধু বিপ্লব, সবুর, মান্নান ও আমি রাঙ্গামাটি ভ্রমণ দিয়ে শুরু করেন তাদের দে ছুট ভ্রমণ সংঘের যাত্রা। জীবনের প্রথম ১০ টাকা করে চাঁদা তুলে মিরপুর চিড়িয়াখানা যাই ঘুরতে বলছিলেন মো. জাভেদ হাকিম। তাদের মূল উদ্দেশ্য অচেনাকে চেনা অজানা জানা আল্লাহ পাকের সৃষ্টির নিদর্শন দেখা অন্যদেরও উৎসাহিত করা। বর্তমানে তাদের দলে টগবগে তারুণ্যসহ যুবক, বৃদ্ধ সবাই আছে। ভ্রমণ মানুষের মন মানসিকতাকে করে মহান। উপযুক্ত শিক্ষা লাভের বিশাল মাধ্যম হলো ভ্রমণ। এর বিকল্প নেই। তাই তরুণদের জন্য সুযোগ করেই ভ্রমণে বের হতে হবে। তবে সেই ভ্রমণ হতে হবে প্রকৃতি হতে শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে। দলবেঁধে গেলাম আর হৈ হুল্লোর করে ফিরে এলাম এইটা কোন ভ্রমণের পর্যায় পড়ে না। তরুণদের জন্য পাহাড় ভ্রমণ হতে পারে নৈতিক শিক্ষা লাভের মহামাধ্যম।
×