ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পপি দেবী থাপা

ঈদে নতুন ফ্যাশন

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ১৬ জুন ২০১৭

ঈদে নতুন ফ্যাশন

ঈদের আগাম আনন্দে মেতে উঠেছে পুরো দেশ। ভিড় বাড়ছে বিপণি বিতানগুলোতে। পছন্দের পোশাকটির জন্য সকলেই ছুটছেন বিভিন্ন মার্কেটে। কিনছেন সাধ্যের মধ্যে পছন্দের সেরাটি। ঈদের খুশি মূলত বাড়ির ছোটদেরই। তাদের ঈদ মানেই নতুন জামা, জুতো। ঈদ বাজারে শিশুদের জন্য এসেছে নানা ডিজাইনের পোশাক। এবার গরমের কথা মাথায় রেখে পোশাকে শিশুদের আরামের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। তাই বেড়ছে সুতি কাপড়ের কদর । পোশাকে রয়েছে উজ্জ্বল রং। সুতি ছাড়াও রয়েছে লিলেন, গেঞ্জি কাপড়, এ্যান্ডি সুতি, সিল্ক, ভয়েল, জর্জেট, শিপন। মেয়েদের জন্য হাল আমলের রকমারি সুতির টু-পিস, থ্রি-পিস্, স্কার্ট-টপস্, গাউন, সারারা, লেহেঙ্গা, লং স্কার্ট, শর্ট স্কার্ট, ক্যাপ, এক ছাঁটের ফ্রক, লেয়ার প্যাটার্নের ফ্রক, হাফহাতা কিংবা হাতাকাটা ফ্রক ও নানা ডিজাইনের পার্টি ফ্রক। পোশাকের ডিজাইনে রয়েছে হাতের কাজ, এ্যামব্রয়ডারি। কিছু পোশাকের প্যাটার্নে রয়েছে ওয়েস্টার্ন ধাঁচ। ছেলেদের জন্য কটিসহ, পাঞ্জাবি ও চুরিদার পায়জামার চলন এবারের ঈদে খুব বেশি। এছাড়াও রয়েছে চেক ও ডোরাকাটা হাফহাতা শার্ট, পলো বা টি-শার্ট। প্রচ- গরম আর ভারি বর্ষণ সঙ্গে নিয়েই এবারের ঈদ। তাই পোশাকে আরাম ও উৎসবের জমকালোভাব দুটোই উঠে এসেছে। কাপড়ে গুরুত্ব পেয়েছে সুতি, জর্জেট, সিল্ক, মসলিন। যা উৎসবের উজ্জ্বল রঙে রাঙানো। ডিজাইনে রয়েছে নানা বৈচিত্র্য। পশ্চিমা পোশাক গাউন বরাবরের মতো এবারও বাজার দখল করে আছে। লেয়ার করা কাটাছেড়া পোশাকও গেল বারের মতো এবারও বাজার দাপাচ্ছে। তরুণীরা পছন্দ নতুন প্যাটার্নের সালোয়ার কামিজ। কামিজের হাতার কাটিং এ চলছে নানা বৈচিত্র্য। হাতার ডিজাইনের সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সেলোয়ারের নিচের অংশ। আবার সামনের পার্ট খাটো পিছনের পার্ট লম্বা এ প্যাটার্নের জামা বেশ চলছে। লং কামিজের পাশাপাশি ওয়েস্টার্ন প্যাটার্নে শর্ট কামিজের সঙ্গে বিভিন্ন কাটিংয়ের কাটাছেড়া হাতা এবং প্যান্টের প্যাটার্নে নিচের দিকে ডিজাইন করা পায়জামা দৃষ্টি কাড়ছে অনেকেরই । প্রিন্ট এবং বিভিন্ন রঙের শেড করা কাপড় বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে সেলোয়ার কামিজে। এছাড়াও ইন্দো-ওয়েস্টার্ন, এ্যারাবিয়ান ধাঁচের পোশাকও এবারের ঈদে বেশ চলছে। সোলোয়ারে এসেছে নতুন প্যাটার্ন। রয়েছে, এ্যারাবিয়ান, পাকিস্তানী প্যাটার্নের সেলোয়ার। এছারাও আছে নানা ছাটের পালাজ্জো। কটির ব্যবহার তো আছেই। ঈদ উপলক্ষে বাজারে এসেছে নতুন প্যাটার্নে, রঙভারি কটি। যা পোশাকে এনে দেবে বাড়তি সৌন্দর্য। উৎসবে নারী শাড়িতেই বেশি সুন্দর। এবারের ঈদে গরম বেশি থাকার কারণে সুতি শাড়ির দিকে সকলের ঝোঁকটা একটু বেশি। চাই বয়স অনুসারে শাড়ির ডিজাইনে ভিন্নতা। সুতির কাপড়ের পাশাপাশি, তসর, কোটা, হাফ সিল্ক, ফুল সিল্ক, জামদানি, মসলিন শাড়ি ঈদে ফ্যাশানেবল। সিল্কের কাঁথাস্টিচ শাড়ি, প্যাচওয়ার্ক, হ্যান্ডপেইন্টের কাজের শাড়ি, লেইসের কাজের শাড়ি, আবার ভিন্ন পাড়ের বৈশিষ্ট্যের শাড়ি বেশ আকর্ষণীয়। এই গরমে দিনের বেলায় পরার জন্য এ শাড়িগুলো হবে আরামদায়ক ও ফ্যাশানেবল। গেল বছরের মতো এবারও রয়েছে হাফ সিল্ক ও ফুল সিল্কের ওপর জামদানির কাজ। একই শাড়ির প্রথম প্যাঁচ ও কুঁচি এক রকম আবার আঁচল ভিন্ন, এ ধরনের শাড়িরও বেশ কদর রয়েছে। আবার মসলিনের কাপড়ে বৈচিত্র্যময় নকশার হাতের কাজ বা এ্যামব্রোয়ডারি ফ্যাশানেবল ও রুচিশীল। অনেকে ঈদে একটু দামী, ভারি কাজের শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে রাতে পরার জন্য। সেক্ষেত্রে রয়েছে কাতান, বেনারসি যেমন : কাঞ্জিভরম, কাঞ্জিলাল, গাদোয়াল ইত্যাদি। আবার এই শাড়িগুলোতে ঐতিহ্যবাহী নকশার চাহিদা একটু বেশি। ঈদে ছেলেদের পাঞ্জাবি ও শার্টের কাপড়েও আরামের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। ঈদে ছেলেদের পোশাক মানেই পাঞ্জাবি। বৃষ্টি ও গরম দুটোর জন্যই সহনীয় হবে সুতি কাপড়ের বিভিন্ন ডিজাইনের ও হাতের কাজের পাঞ্জাবি। বয়স্কদের জন্য একটু ঢিলা ও সাধারণ কাটের হালকা কাজের পাঞ্জবি আরামদায়ক। তরুণ ও মধ্যবয়স্কদের মাঝারি সাইজের ফিটিং পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবির রং নির্ধারণে সময়কে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এবার ঈদে পাঞ্জাবিতে গাঢ় রঙের পাশাপাশি হালকা রঙের শেডের ব্যবহার হচ্ছে বেশি। তবে রাতে পরার জন্য ভারি কাজের সিল্ক, এ্যান্ডি সিল্ক, জামেবর, রাজশাহী সিল্ক ইত্যাদি কাপড়ের জমকালো পাঞ্জাবি বেশ স্টাইলিস্ট। মানিয়ে যাবে আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী নকশার পাশাপাশি সুতার কাজের পাঞ্জাবিও। কলারে পাইপিং, চিকন জরি সুতার কাজ, কাপড় অথবা রঙিন সুতা দিয়ে তৈরি বাটন প্লেট, কলার, হাতায় নকশা করা পাঞ্জাবি ঈদের আমেজ আরও বাড়িয়ে তুলবে। আবার বুকে এক ও দুই পকেটের পাঞ্জাবিও ঈদে আপনাকে করে তুলতে পারে সকলের থেকে ভিন্ন। এবার ঈদেও কটির চলন রয়েছে। পাঞ্জাবির উপরে কটি পরে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। পরতে পারেন সুতি কাপরের চেক, প্রিন্টের শার্ট ও গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট। মডেল : চাঁদনি ও অন্তরা ছবি : জামশেদুল আবেদিন নাবিল
×