ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডিগ্রীকে বিয়ে করলেন তরুণী!

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ৯ জুন ২০১৭

ডিগ্রীকে বিয়ে করলেন তরুণী!

টেক্সাস নিবাসী এক নারী সম্প্রতি তার নাম পরিবর্তনের দিনটি উদযাপন করতে বিয়ে নিবন্ধন করেছেন। তবে তার নামের আগে মিসেস নয় বরং ডক্টর উপাধি যুক্ত হয়েছে। অ্যাঞ্জি হ্যামোয়ি (২৭) তার মেডিক্যাল ডিগ্রী অর্জনের দিনটি উদযাপন করতে এ উপায় বেছে নেন, যেখানে ভালবাসার মানুষের প্রতি একনিষ্ঠতা প্রকাশে সচরাচর মানুষ এমন উদ্যোগ নেয়। তিনি তার গ্র্যাজুয়েশনের দিনটি স্মরণীয় করতে ‘গ্র্যাজুওয়েডিং ইভেন্ট’ আয়োজন করেন। এর সঙ্গে ‘সেভ দ্য ডেট’ ওয়েবসাইটটি খোলেন। আলাপকালে তিনি ঠাট্টার ছলে বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে যদি বলতে হয় তবে আমি পড়াশোনাকেই ভালবাসি।’ গ্যালভেস্টনে টেক্সাস ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল ব্রাঞ্চের অন্তর্গত মেডিক্যাল স্কুল থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে গ্র্যাজুয়েট হওয়া ও জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে সুযোগ পাওয়ার দিনটি উদযাপন করতে তিনি এ কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘মেডিক্যালের প্রথম বর্ষে পড়ার সময় থেকে আমার স্বপ্ন ছিল জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে পড়ার।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভালবাসা প্রকাশ করতে উদগ্রীব ছিলাম। কারণ, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেতে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি।’ গ্র্যাজুয়েশনের দিনটি তার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা সবাইকে বোঝাতে তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানের আদলে গ্র্যাজুয়েশন পার্টির ব্যবস্থা করেন। ‘বিষয়টি আমার কাছে খুবই বড় ছিল কারণ অনুষ্ঠানটি অন্য ১০টি সাধারণ অনুষ্ঠানের চেয়ে আলাদা হবে,’ বললেন হ্যামোয়ি। ‘আমি ভেবে দেখলাম মানুষ তার বিয়ের দিনটির জন্য অনেক বড় কিছু ভাবে। তাই আমিও যদি আমার ডিগ্রীকে বিয়ে করি তবে সবাই বুঝবে এই বিষয়টি আমার জন্য কতটা বড়।’ তার জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়টি স্বামীর সঙ্গে পাওয়ার পরিবর্তে একজন স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যার চিকিৎসক হিসেবে চলবে কি-না, জানতে চাইলে তিনি জানান দুটি বিষয়ই তার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। ‘বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রে বৈবাহিক জীবন ও ক্যারিয়ারের মধ্যে যে কোন একটি বেছে নিতে হয়। অর্থাৎ একটি দিক তারা উপভোগ করতে পারে। কেননা এক্ষেত্রে কোনটি গুরুত্ব পাবে এমন প্রশ্ন চলে আসে,’ বললেন হ্যামোয়ি। তিনি আরও বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমি ভাগ্যবান কারণ আমি যা শিখেছি এবং যা অর্জন করেছি দুটোর প্রতিই আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই শিক্ষা ব্যবহার করে আমি নিজের ও আমার আশপাশের মানুষের জীবন বদলে দিতে পারব।’ রেহনুমা তারান্নুম খান
×