ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

প্রকাশিত: ০২:১৭, ২৯ মে ২০১৭

উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

অনলাইন ডেস্ক ॥ ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর সমূহকে ‘সাত’ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ‘১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত’ দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পায়রা ও মংলা বন্দরকে ‘৫’ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ‘৮’ নম্বর পুনঃ ‘৮’ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’ আরও সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কি.মি. দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কি.মি. দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকালনাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬২ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্দ রয়েছে। ইতোমধ্যে ‘মোরা’র প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। অস্বাভাবিক উচ্চতায় উঠে গেছে বঙ্গোপসাগরের ঢেউ। উপকূলীয় এলাকাতে সোমবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেছেন কক্সবাজারে নিম্নাঞ্চলের মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্ধ্যার আগে উপকূলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরা প্রভাবে ভোর রাতে মাঝারি ও হালকা বৃষ্টি হলেও সোমবার সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারে সময় পানির উচ্চতা ৪ থেকে ৫ ফুট বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিকেলের পর বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে থাকে। সমুদ্রের পানির উচ্চতাও অস্বাভাবিক বাড়ছে। এছাড়া কুতুবদিয়া, চকরিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফেও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির (সিপিসি) কর্মীদের উদ্যোগে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে।
×