নিজস্ব সংবাদদাতা, মোংলা ॥ ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবেলায় মোংলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বন্দরের সকল বিভাগের প্রধানদের নিয়ে সভা করেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান।
তিনি জানান, বন্দরে আগত ও অবস্থানরত সকল দেশী-বিদেশী জাহাজগুলোর পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ দুপুর ২টা থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বন্দর জেটির কন্টেইনার ইয়ার্ডে কাজ চলছে। জাহাজসহ অন্যান্য নৌযানগুলোকে শক্তভাবে নোঙ্গর/এ্যাংকোরেজ ও বেধে সতর্কাবস্থায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দরের হারবার বিভাগ কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। নৌযান দুর্ঘটনা এড়াতে বন্দরে একটি উদ্ধারকারী টাকবোট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল ইসলাম জানান, সকালে জরুরী বৈঠকের মাধ্যমে উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুলি বাতিল করা হয়েছে। উপজেলায় একটি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে প্রত্যেক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সতর্কবার্তার মাইকিং প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখার পাশাপাশি সরকারী-বেসরকারী বহুতল ভবন খোলা রাখা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার মজুদ করা হয়েছে বলে জানান রবিউল ইসলাম।
এদিকে মোংলা পোর্ট পৌরসভা আরো একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের মাইকিং প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাবে ৫ নম্বর বিদপ সংকেত জারি করা হলেও মোংলাসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকার আবহাওয়া সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে ঝড়ো হাওয়া ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: