ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুর দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ ॥ আহত ১০, আটক ৪

প্রকাশিত: ০২:৪৪, ২৬ মে ২০১৭

লক্ষ্মীপুর দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ ॥ আহত ১০, আটক ৪

নিজস্ব সংবাদদাতা,লক্ষ্মীপুর ॥ ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় লক্ষ্মীপুরে রামগতি বাজারে বিজয় ও পরাজিত দু’ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিজয়ী প্রার্থী মুন্না ও পরাজিত প্রার্থী ফারুক হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তঃত ১০জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্র কমপ্লেক্স ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আহতদের মধ্যে মোতালেব হোসেনের অবস্থায় আশংকাজনক। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রামগতি ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে দোকান-পাট বন্ধ করে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট ডাক দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনার পর শুক্রবার ভোররাতে রামগতি বাজারে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ইউপি সদস্য পদে বিজয়ী মুন্না স্থানীয় সংসদ সদস্য মো, আবদুল্লাহ আল মামুনের সমর্থক ও পরাজিত প্রার্থী ফারুক হোসেন আ’লীগ নেতা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদের সমর্থক। রামগতি বাজার ব্যবস্থা কমিটির সভাপতি মো. আজাদ উদ্দিন জানান, কিছুই হলে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। এ সব ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার চেয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। অনতিবিলম্বে এসব হামলা বন্ধ ও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরো কঠোর কর্মসুচি দেয়া হবে। তারা বিচার চেয়ে দোকান-পাট বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখার আশ^াসে হবে পুলিশের এমন আশ্বাসে তা প্রত্যাহার করেন। পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা জানায়, গত ২৩ মে রামগতি উপজেলার চরআলগী,বড়খেরী ও চরআবদুল্লাহ তিনটি ইউপিতে নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। ওই ভোটে স্থানীয় বড়খেরী ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে ফারুক হোসেন পরাজিত হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় ভোট না দেয়ায় রামগতি বাজারে ফারুক হোসেন ও তার লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষ বিজয় প্রার্থী মুন্না সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনার জের ধরে বিজয় প্রার্থী মুন্নার সমর্থকরা বুধবার রাতে পাল্টা হামলা চালায়। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। ওই সময় মোতাবেল হোসেন,ফারুক হোসেন,আবুল কালাম ও মহিউদ্দিনসহ উভয়পক্ষের অন্তঃত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্র কমপ্লেক্্র ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
×