স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৫ম শ্রেনির ছাত্রের সাথে বিয়ে পড়ানো হয়েছে ৯ মাসের অন্ত:সত্ত্বা এক তরুণীর। নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বৃহস্পতিবার রাতে তার নিজ বাড়িতে কাজী ডেকে এই বিয়ে দেন। যার পাত্র গুলিশাখালী ফাজিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির নিয়মিত ছাত্র।
উমাজুড়ি গ্রামের আব্দুল হাকিম মালের ছেলে হাসিব মালের বয়স এখন ১২বছর চলছে। ৯মাস পূর্বে তার বয়স ছিলো ১১ বছর। ওই সময়ই নাকি হাসিবের সাথে মেলামেশায় অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে সোনিয়া। যার সামাজিক সমাধান করা হয় ওই দু’জনের বিয়ে পড়িয়ে। আশ্চর্য রকমের এই বিয়ের পাত্রি একই গ্রামের আসলাম মালের মেয়ে সনিয়া আক্তারের বয়স এখ ১৮ বছর। চেয়ারম্যান ও অন্যারা জানান, মেয়েটি বর্তমানে ৯ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাজী মো. আলতাফ হোসেন ৫০হাজার টাকা দেনমোহর ধার্যে বিয়ে পড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বলেন, ‘ছেলে এবং মেয়ে উভয়ে খুব গরীব। তারা একে অন্যের সাথে মেলা করে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েছে তাই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিয়ে পড়ানোর অনুমতি দিয়েছেন’।
তবে এ সম্পর্কে কাজী আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমাকে বাচ্চু চেয়ারম্যান তার বাসায় ডেকে নিয়েছিলেন। ছেলের বিয়ের বয়স হয়নি। তার জন্মসনদও দিতে পারেনি, তাই বিয়ে পড়াইনি। তবে তাদের নিকট থেকে চেয়ারম্যান সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমার রেজিষ্ট্রারে কোন স্বাক্ষর করানো হয়নি’।
ঘটনা সম্পর্কে এই বিয়ের ‘পাত্র’ হাসিব মাল শুক্রবার অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনাটি অন্যায়ভাবে আমার উপর চাপানো হয়েছে। আমিতো লেখা পড়া করছি’। অসহায় শিশু ছাত্র হাসিব মাল এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সে এখন নিরাপদ আশ্রয় খুজছে।
